চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

প্রসাধনী জুতা মোবাইলে আগ্রহ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

১০ মে, ২০২১ | ১:০৮ অপরাহ্ণ

কেউ এসেছেন নতুন জুতা-সেন্ডেল কিনতে। কারও প্রয়োজন জুয়েলারি- প্রসাধনী। ঈদের পোশাকের সঙ্গে মানানসই এসব পণ্য কিনতেই গতকাল রবিবার নগরীর অভিজাত শপিং মলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিলো বেশি। শার্ট, টি-শার্ট, জিন্স, টপস, শাড়ির সঙ্গে মাননসই এসব পণ্যের দোকানে বাড়তি ভিড় ছিলো এদিন। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরীর সানমার, সেন্ট্রাল প্লাজা, ইউনেস্কু, আমিন সেন্টার, বিপনী বিতান, লাকি প্লাজা, আখতারুজ্জামান সেন্টার, বালি আর্কেড, মিমি সুপার, আফমি প্লাজা ঘুরে দেখা গেছে- অভিজাত এসব শপিংমলে রবিবার ক্রেতাদের ভিড় ছিলো।

তৈরি পোশাক, জুতা, প্রসাধনী, জুয়েলারি, মোবাইল কিনতে এসব অভিজাত মার্কেটে ভিড় করেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি শপিংমলের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ইউনেস্কু ছাড়া অন্যগুলোতে ফুটবাথ স্যানিটাইজার ম্যাট দেখা যায়নি। ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় মেঝেতে তিন ফুট দূরত্ব নির্দেশক ‘রেড মার্ক’ দেখা যায়নি কোথাও। বিক্রেতাদের কেউ কেউ মাস্ক পরা ছাড়াই বসে ছিলেন দোকানে।

সানমারে ছেলের জন্য মোবাইল কিনতে এসেছিলেন নাজনিন ফারজানা। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, পোশাক আগেই কেনা হয়েছে। ছেলের বায়না ছিলো- একটা স্মার্টফোন। এটা কিনতেই এখানে আসা। শাওমির এমআই নোট-১০ প্রো মডেলের একটি স্মার্টফোন নিয়েছি ২৯ হাজার টাকায়।  স্মার্টফোন পেয়ে ছেলে দারুণ খুশি। তার জন্যই ঝুঁকি নিয়ে মার্কেটে আসা। অভিজাত এ শপিংমলের দ্বিতীয় তলায় ‘অপেলিয়া’য় জুয়েলারি দেখছিলেন শাহনাজ পারভিন। কেনাকাটার ফাঁকে তিনি পূর্বকোণকে বলেন, জামার সঙ্গে মাননসই জুয়েলারি প্রয়োজন। তাই আসা। এতো ভিড় হবে বুঝতে পারিনি। এখন কিনেই দ্রুত চলে যাবো। বাসায় গিয়ে ভালো করে স্যানিটাইজ করবো।

অভিজাত শপিং মল ‘সেন্ট্রাল প্লাজা’তে যেতেই একই দৃশ্য। নিচ তলার পোশাক, বোরকা, হিজাব, ওড়না এবং দ্বিতীয় তলার জুতা, প্রসাধনীর দোকানে মানুষ আর মানুষ। করোনার ভয় ভেঙে ঈদ উপলক্ষে শেষ মুহুূর্তের কেনাকাটায় সেন্ট্রাল প্লাজার দোকানে দোকানে ভিড় করেছেন নগরবাসী। তবে এর মধ্যে নারী ক্রেতার সংখ্যা ছিলো উল্লেখযোগ্য।

ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে ইউনেস্কো সিটি সেন্টারেও। অভিজাত এ শপিংমলের নিচতলার একটি দোকানে মেয়ের জন্য জমা কিনছিলেন সোনিয়া আক্তার। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, ঈদের জামা আগেই কেনা শেষ। বাইরে ভীষণ গরম। তাই কয়েকটি সুতি জামা কিনতে এসেছি।

সানমার, সেন্ট্রাল প্লাজার তুলনায় ক্রেতা কম দেখা গেছে আমিন সেন্টার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, বালি আকের্ড ও ভিআইপি টাওয়ারে। তবে জমজমাট বিকিকিনি ছিলো মিমি সুপার এবং আফমি প্লাজায়। লকডাউনের কারণে দোকান বন্ধ রাখা, রমজানের মাঝখানে দোকান খুললেও ক্রেতার সংকট থাকায় বিক্রেতাদের মুখে চিন্তার যে ভাঁজ পড়েছিলো- গত কয়েকদিনে ক্রেতাদের ভিড়ে তা হাসিতে রূপ নিয়েছে।

মিমি সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল বলেন, গত সপ্তাহে ক্রেতা না পেয়ে হতাশ হয়েছিলাম। তবে গত শুক্রবার থেকে ক্রেতা বাড়তে শুরু করে। শনিবার এবং রবিবার বেচাকেনা ভালোই হয়েছে। ঈদের আগের কয়েকটি দিন এরকম বেচাকেনা হলে কর্মচারীদের বেতন-বোনাসটা দিতে পারবো। দোকান ভাড়াটা উঠবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট