চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ওয়াসা কর্মকর্তাদের এলজিআরডি মন্ত্রী ওয়াসাকে স্বনির্ভর করার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ জুন, ২০১৯ | ২:১৮ পূর্বাহ্ণ

ভূ-উপরিস্থ পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে ওয়াসাকে সেলফ ডিপেন্ডেন্ট করার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, ‘পানির মূল্য আবাসিকের তুলনায় শিল্পকারখানার বেশি। শিল্পকারখানায় পানি সরবরাহ বাড়ানো গেলে ওয়াসার আয় বাড়বে। তাতে গ্রাহক সেবা বাড়ানো যাবে। তিনি গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে ওয়াসার কনফারেন্স রুমে কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরীতে দৈনিক ৩৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে। নগরবাসীর চাহিদা মেটাতে

ওয়াসা আরো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি ও নানামাত্রিক সেবামূলক কর্মকা-ের কারণে চট্টগ্রাম ওয়াসা আইএসও ৯০০১ : ২০১৫ সনদ অর্জন করেছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক সনদ এবং স্বীকৃতি।
তিনি বলেন, বিলে অব্যবস্থাপনা ও বিড়ম্বনা কমাতে চট্টগ্রাম ওয়াসার সব কার্যক্রম অটোমেশনের (স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি) আওতায় আনাতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ওয়াসার দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় নগরীতে পানির সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হয়েছে। সরকার নগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে যথেষ্ট আন্তরিক। সবাই মিলে কাজ করলে নগরীর পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি তিনি প্রক্রিয়াধীন ও চলমান প্রকল্পসমূহ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য দিকনির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিটি মেয়র আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দিন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. প্রকৌশলী এস এম নজরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ। স্বাগত বক্তব্যে তিনি গত ১০ বছরে চট্টগ্রাম ওয়াসার উন্নয়নমূলক কর্মকা- পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।
নগরীর পানি সরবরাহ বৃদ্ধিতে ওয়াসা সব সময় সহযোগিতা দিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, সরকারি এই সেবা সংস্থাটি নগরীতে পানি সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- চালাচ্ছে ওয়াসা। পাইপলাইন বসাতে মূল সড়ক ছাড়াও শহরে অলিগলি সড়কগুলোও কাটা হচ্ছে। এতে উন্নয়ন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। এমনকি কোনো কোনো সড়ক বারবার কাটা হচ্ছে। কাটা সড়ক একবার মেরামত করার পর পুনরায় কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে জনগণ ভোগান্তিতে পড়ছে। আমি প্রায় সময় বলে থাকি এটা উন্নয়নের প্রসব বেদনা। তাই একটু দায়িত্ব নিয়ে কাজ করলে বার বার সড়ক কাটতে হতো না। জনগণকেও ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ তাঁর বক্তব্যে, পানির উৎপাদন দৈনিক ৩৬ কোটি লিটার থেকে বাড়িয়ে ৪২ কোটি লিটারে উন্নীত করতে ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেন। একই সাথে পানির মূল্য বৃদ্ধি এবং প্রিপেইড মিটার চালু করার বিষয়টি বোর্ড সদস্যদের বিবেচনার অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত দেশগুলো আন্ডারগ্রাউন্ড পানি ব্যবহার করে না। সাগর পাড়ে জাপানিদের বসবাস হলেও তারা সাগরের পানি ট্রিটমেন্ট করে ব্যবহার করে। পাশ্ববর্তী মালয়েশিয়া থেকে খাবার পানি নিয়ে আসে সিংগাপুর। তেমনি চট্টগ্রাম শহরে ধীরে ধীরে আন্ডারগ্রাউন্ড পানি ব্যবহার কমিয়ে ফেলতে হবে। কর্ণফুলী, হালদা ও বঙ্গোপসাগরের পানি ট্রিটমেন্ট করে শহরে সরবরাহ করতে হবে ওয়াসাকে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. প্রকৌশলী এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নিদিষ্ট সূচি ও পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে ওয়াসা। এ কারণে আইএসও ৯০০১ : ২০১৫ সনদ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পেনশন ভাতা পায় না। তিনি এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট