চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

শত বছরের ঐতিহ্যের ধারক হারুয়ালছড়ি গায়েবি মসজিদ

বিশ্বজিৎ রাহা, ফটিকছড়ি

৯ মে, ২০২১ | ১:১০ অপরাহ্ণ

শত শত বছরের ঐতিহ্যের ধারক ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়ি ইউপির ফকিরপাড়া গায়েবি জামে মসজিদ। অনিন্দ্য সুন্দর এ মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন ফটিকছড়িসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা এ এলাকায় আসতে দেখা যায়। অনেকে আবার নিয়ত পূর্ণ হবার বাসনায়ও এ মসজিদে আসেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি ও হারুয়ালছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো.ইকবাল হোসেন চৌধুরী, মসজিদের প্রায় ৫০ বছরের মুয়াজ্জিন অশীতিপর মো. নুরুল ইসলামসহ উপস্থিত স্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মসজিদটি কে কখন, কত বছর আগে নির্মাণ করেছে তার সঠিক তথ্য নেই।

স্থানীয়রা জানান, ভারতবর্ষে মোগল সম্রাটদের সময়কালে এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে আসা সুফি সাধক, পীর দরবেশরা প্রথম এ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। তারা এখান থেকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন এবং এ মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতেন। পরবর্তীকালে এটি জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে যায়। আরো বহু বছর পরে এটিকে জঙ্গলের ভেতর থেকে স্থানীয়রা আবিষ্কার করে। সেই থেকে এটি গায়েবি মসজিদ নামে পরিচিত পায় বলে তারা জানান।

১৯৬৭ সালে প্রথমবার স্থানীয়রা সংস্কার করেন। এরপর মসজিদটির আরো দুই দফা সংস্কার করা হয়। সর্বশেষ ২০১৩ সালে শিল্পপতি মো. দিদারুল আলম চৌধুরী পুরানো মসজিদটি ভেঙে নতুন করে মসজিদটি পুনর্নির্মাণে উদ্যোগী হন। সেই অনুযায়ী তিনি বুয়েটের অধ্যাপক মো. শফির করা নকশা অনুযায়ী মোগল স্থাপত্য শৈলীর আদলে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬ গ-া জমির উপর মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করেন এবং সংলগ্ন আরো প্রায় দুই কানি জায়গাজুড়ে দৃষ্টিনন্দন বাগান গড়ে তোলেন।

বর্তমানে মসজিদটির সৌন্দর্য যে কোন মানুষের নজর কাড়ে। বলা যায় বর্তমানে উত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ এটি। এছাড়া মসজিদটি নিয়ে নানা কাহিনীও এলাকায় চাউর আছে। এখানে কোন নিয়ত নিয়ে নামাজ আদায় করলে তার নিয়ত পূর্ণ হয় বলে কথিত আছে। এছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও এ মসজিদে এসে মোববাতি জ্বালায় এবং নানা মানত করে বলে জানা যায়। ফটিকছড়ি বিবিরহাট বাসস্ট্যান্ডে নেমে মাত্র ২৫ টাকা ভাড়ায় ট্যাক্সিতে করে হারুয়ালছড়ি শান্তিরহাট বাজারে বা চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে নামলেই মসজিদটিতে যাওয়া যায়।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট