চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এক ছিনতাইয়ের তদন্তে নেমে তিন চক্রের সন্ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ মে, ২০২১ | ৮:৩৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীতে ছিনতাইকারীর কবলে পড়া এক কিশোরের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনটি ছিনতাইকারী চক্রের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি।

শুক্রবার (৭ মে) ভোর রাতে নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার, পাথরঘাটা ও ওয়াসা মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বেলাল হোসেন ওরফে রুবেল (৩০), মেহরাজ হোসেন রাকিব (২৫), হাবিবুর রহমান কায়সার ওরফে রানা (২২), শরীফ হোসেন (২০), মো. জয় (২১), মো. রুবেল (২০), সাইফুল ইসলাম (২১), সাদ্দাম হোসেন (২৯), মো. রাসেল ওরফে রাকিব (১৯) ও মো. ইয়াকুব (১৯)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন। পূর্বকোণকে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে ফিরিঙ্গিবাজারের ব্রিজঘাট এলাকায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে রিদুয়ানুল ইসলাম নামের এক কিশোর। কুতুবদিয়া থেকে সে চট্টগ্রামে এসেছিল পোশাক কিনতে। তিন ছিনতাইকারী তার কাছ থেকে সাড়ে ১৯ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অস্ত্রের ভয়ে রিদুয়ান টাকাপয়সা দিয়ে কালামিয়া বাজার এলাকায় তার খালার বাসায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে সবকিছু খুলে বলার পর সন্ধ্যায় তার খালুকে নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে আসে।’

ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে অভিযানে নামে পুলিশ। রাত দেড়টার দিকে রুবেল, রাকিব ও রানাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার এবং ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল ফোন এবং সাড়ে ১৯ হাজার টাকা বের করে দেয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভোর রাতে তাদের নিয়েই চট্টগ্রাম বন্দরের ব্রিজঘাট এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে একটি বাজারের ব্যাগের ভেতরে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং এক রাউন্ড কার্তুজ পাওয়ার কথা জানান ওসি।

তিনি বলেন, ‘রুবেল, রাকিব ও রানা জিজ্ঞাসাবাদে বলে, ঈদ সামনে রেখে তাদের পরিচিত আরও কয়েকটি চক্র নগরীতে সক্রিয় আছে। তাদের তথ্যে আরও দুটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে ওয়াসা মোড়ে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ সংলগ্ন নার্সারির সামনে থেকে শরীফ, জয় ও রুবেলকে তিনটি ছুরিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। আর পাথরঘাটা মেরিনার্স রোড থেকে সাইফুল ইসলাম, ফিরিঙ্গি বাজার হাজি কলোনির মুখ থেকে সাদ্দাম, রাসেল ও ইয়াকুবকে তিনটি ছুরিসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’

ওসি নেজাম বলেন, ‘তারা বিভিন্ন এটিএম বুথের সামনে এবং নির্জন রাস্তায় অবস্থান করত, সাথে সবসময় ছুরি রাখত। সুবিধামত কাউকে পেলে টাকা পয়সা, মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিত। কেউ বাধা দিলে ছুরি দিয়ে আঘাত করার কথাও এই ছিনতারইকারীরা জিজ্ঞাসাবাদে ‘স্বীকার করেছে’।

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট