চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে ১০% ভর্তুকি প্রদানের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক 

৩০ এপ্রিল, ২০২১ | ১২:২২ অপরাহ্ণ

বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং দেশিয় মাছ উৎপাদনকারীদের উৎসাহী করতে আগামী নতুন অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেটে হিমায়িত সকল ধরণের মাছ রপ্তানীতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ ভর্তুকি বাড়িয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ নন-প্যাকার ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশনের (বএনপিএফএফইএ) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রানা। আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তবনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) তিনি এই দাবি করেন।

হিমায়িত মাছ রপ্তানি খাত প্রসঙ্গে তিনি পূর্বকোণকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমানে হিমায়িত মাছ রপ্তানি হয়। তবে বিশেষ করে অপ্রচলিত মাছ যেমন টাং শোল, মায়া মাছ, অক্টোপাস বর্তমানে প্রচুর পরিমানে রপ্তানি হচ্ছে। চায়না, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, হংকং ইত্যাদি দেশ এসব পণ্য রপ্তানির বড় বাজার। তবে কোভিডের কারণে এই খাতে মারাত্মক ধস নেমেছে। যদিও চিংড়ি ছাড়া এ জাতীয় সকল হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে সরকার ৫ শতাংশ ভর্তুকি দেয়, তবু কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী বাজেটে ভর্তুকির পরিমান ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সকল জাতীয় মাছ রপ্তানিতে ১০ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। 

উৎস কর বাতিল করার দাবি জানিয়ে মাহবুব রানা বলেন, অপ্রচলিত মাছ রপ্তানির প্রধান বাজার হলো চায়না। কিন্তু দীর্ঘদিন করোনার কারণে সেখানে মাছ রপ্তানি বন্ধ ছিল। এতে বড় ধরণের ক্ষতিতে পড়েছে দেশিয় হিমায়িত মাছ রপ্তানিকারকেরা। এই পরিস্থিতিতে এনবিআরের কাছে উৎস কর বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

আন্তর্জাতিক বাজারে হিমায়িত মাছ রপ্তানির বাজার প্রতিযোগিতামূলক হয়ে গেছে উল্লেখ করে মাহবুব রানা বলেন, আমাদের দেশে মাছের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। যার সুযোগে পার্শ্ববর্তীদেশসহ অনেকে হিমায়িত মাছ রপ্তানির সুযোগ নিয়ে নিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি খরচও বেড়েছে। বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতির কারণে চায়নাসহ সকল দেশ আমাদের রপ্তানি করা মাছ কয়েকবার পরীক্ষা করে। যার কারণে প্রায় এক চালান মাছ রপ্তানিতে দুই মাস সময় লেগে যায়। এতে আমাদের খরচ বেড়ে যায়। তাই সরকারি ভর্তুকি বাড়ানো ও উৎস কর বাতিলের বিকল্প পথ নেই।

বেনামী চিংড়ি রপ্তানি উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিযোগি দেশগুলো ভেন্নামি চিংড়ি রপ্তানি করে বিলিয়ন ডলার আয় করে নিচ্ছে। অথচ আমাদের সেই সুযোগ নেই। যার কারণে অনেক চিংড়ি হ্যাচারি বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরো বন্ধের পথে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট