চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাঙামাটিতে দুটি সশস্ত্র গ্রুপে সংঘর্ষে নিখোঁজ ১, উদ্ধার ১

পূর্বকোণ প্রতিনিধি হ রাঙামাটি অফিস

২৮ জুন, ২০১৯ | ২:০৯ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটির বরকল উপজেলাাধিন কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় পাহাড়ের দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালের দিকে বরকল উপজেলার সুবলং বাজারের কাচালংমুখ এলাকায় জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মূল দল এবং সংস্কারবাদী জেএসএস (এমএন লারমা) গ্রুপ সমর্থিত সশস্ত্র সদস্যদের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পানিতে পড়ে একজন নিখোঁজ হয়েছে। তার নাম কোকো চাকমা (২৮)। অপর একজন বোট চালক রমজান আলীকে (৩২) উদ্ধার করা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে রাঙামাটি সদর থেকে ছেড়ে একটি কংক্রিট ও একটি ইট বোঝাই ইঞ্জিনবোট বরকলের সুবলং বাজার অতিক্রম করে লংগদু উপজেলা সদরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথে চাঁদার জন্য সুবলং বাজারের মাজারঘাটে বোট দুটিকে ভিড়তে নির্দেশ করে জেএসএস সংস্কারবাদীরা। কিন্তু সেখানে না ভিড়ে দ্রুত উল্লেখিত স্থান অতিক্রম করে চলে যায় বোট দুটি। এতে ঘাটে রাখা নিজেদের স্পিডবোট নিয়ে ওই দুটি মালবাহী বোটকে ধাওয়া করে সংস্কারবাদী কর্মীরা। এক পর্যায়ে বোট দুটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। এ সময় প্রাণরক্ষার জন্য বোট থেকে

লাফিয়ে পানিতে ঝাঁপ দেন রমজান আলী (৩২) নামে একজন বোটের চালক। পরে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেছে। এসময় সংস্কারবাদী জেএসএস এর সশস্ত্র কর্মিরা গুলি করতে করতে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার সীমানা অতিক্রম করে প্রতিপক্ষের সীমানায় চলে এলে আমবাগান নামক এলাকায় আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা জেএসএস এর মূল দলের সশস্ত্রকর্মীরা সংস্কারপন্থীদের দেখেই ব্যাপকভাবে গুলি চালাতে থাকে। এতে সংস্কারবাদী জেএসএস এর সশস্ত্র কর্মিরা পাল্টা জবাব দেয়ায় ওই দুই গ্রুপের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে অন্তত অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়েছে বলে জানা যায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন, জেএসএস সংস্কারবাদী গ্রুপের স্পিডবোট চালক কাকো চাকমা (২৮)। তার মৃত্য ঘটেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
এ বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বরকল মডেল থানার ওসি মফজল আহম্মদ খান। নিখোঁজ কোকো চাকমা সংস্কারপন্থী জেএসএস এমএন লারমা গ্রপের প্রধান নেতা পেলে বাবুর আপন ভাতিজা এবং তিনি সুবলংয়ে দলটির সহকারী সংগঠকের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানায় দলটির একটি সূত্র। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন কামুক্যাছড়া এলাকায়।
ঘটার সত্যতা নিশ্চিত করে বরকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফজল আহম্মদ খান বলেন, চাঁদা আদায়ে দুটি মালবাহী ইঞ্জিনবোটকে আটকানোর চেষ্টাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই দু’ গ্রুপে সংঘর্ষে নিখোঁজ ব্যক্তিকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছুফি উল্ল্যাহ জানান, ওই ঘটনায় কোকো চাকমা নিখোঁজ হওয়ায় নিহতের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাণরক্ষার জন্য বোট থেকে লাফিয়ে পানিতে ঝাঁপ দেয়া অপর একজন বোট চালক রমজান আলীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট