চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

মুক্তিপণ না পেয়ে কিশোরকে হত্যার পর মাটিচাপা, ২৫ দিন পর লাশ উদ্ধার

লামা সংবাদদাতা

২১ এপ্রিল, ২০২১ | ৩:৪২ অপরাহ্ণ

কুমিল্লা থেকে বেড়াতে এনে বান্দরবানের লামায় জিম্মি করে মুক্তিপণ না পেয়ে এক কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে। ওই কিশোরের নাম হাফেজ মো. অলি উল্লাহ স্বাধীন (১৭)। সে কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের মো. মোবারক হোসেনের ছেলে।

আজ বুধবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টায় আসামিদের দেয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে হত্যার ২৫ দিন পর মাটির নিচ থেকে স্বাধীনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এর আগে এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের বেতঝিরি থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- কুমিল্লার বুড়িচং থানার খারাতাইয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মো. ফয়েজ আহমদ (৩৮) ও দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের মৃত মো. আব্দুল গণি খাঁ’র ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম (১৭)।

নিহতের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল বলেন, গত ২২ মার্চ আমার ছোট ভাই হাফেজ স্বাধীন তার ফুফাতো ভাই মো. আরিফুল ইসলামের সঙ্গে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কয়েক দিন ধরে ছোট ভাইয়ের কোনো খোঁজ না পেয়ে আমরা গত ২৪ মার্চ কুমিল্লার বুড়িচং থানায় হারানোর জিডি করে। জিডির সূত্র ধরে তার মোবাইল নম্বর ট্রেকিং করে মঙ্গলবার লামা থানায় আসি। আমাদের দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে লামা থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ফয়েজ আহমদ ও আরিফুল ইসলামকে সন্দেহভাজন হিসেবে রূপসীপাড়া ইউনিয়নের বেতঝিরি এলাকা থেকে আটক করে।

জানা গেছে, দুইজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় অভিযানে বের হয় লামা থানা পুলিশ। রাত ১টার দিকে আসামি ও নিহতের দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে খুনের ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পরে আসামিদের দেখানো স্থান রূপসীপাড়া ইউনিয়নের শিং ঝিরি পাহাড়ের ওপরে রাত ২টায় মাটি খুঁড়ে হাফেজ স্বাধীনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে ও তাদের দেখানো স্থানে মাটি খুঁড়ে আমরা হাফেজ স্বাধীনের মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহটি স্বাধীনের কি না সেটি তার বড় দুই ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল ও মো. জিলানী নিশ্চিত করেছেন।

ওসি আরও বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিহতের পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দীর্ঘদিন হওয়ায় মরদেহ অনেকাংশ পচে-গলে গেছে।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট