লকডাউনে জারি করা নির্দেশনা অমান্য করায় ৩২ জনকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে দিনব্যাপী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এসব জরিমানা করেন।

 এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  আশরাফুল হাসান নগরীর পতেঙ্গা ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ২ টি মামলায় ৬০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করার পাশাপাশি জনসাধারণকে সচেতন করেন এবং মাস্ক বিতরণ করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  মো আতিকুর রহমান নগরীর পাচলাইশ বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ৬ টি মামলায় ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। এ সময় অধিকাংশ সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে দেখেন এবং সচেতনতার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে মাস্ক বিতরণ করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  মাসুমা জান্নাত কোতোয়ালি সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে ৬ টি মামলা দায়ের করে ১৯০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এছাড়াও সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় অধিকাংশ মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে দেখেন । সর্বাত্মক লকডাউন মেনে চলার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করেন এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষে মাস্ক বিতরণ করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  মিজানুর রহমান নগরীর কোতোয়ালি সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় লকডাউন ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো আশরাফুল আলম বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ২ টি মামলা দায়ের করে ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী শহরের খুলশী বায়েজিদ ও চান্দগাও এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ৩ টি মামলা দায়ের করে ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এবং জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের পক্ষ হতে মাস্ক বিতরণ করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো জিল্লুর রহমান নগরীর পাহাড়তলী হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ৪ টি মামলায় ১৪০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এবং সচেতনতার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  হুছাইন মুহাম্মদ পাঁচলাইশ বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ টি মামলায় ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। এ সময় অধিকাংশ সাধারণ মানুষ কে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে দেখা যায় এবং মাস্ক বিতরণ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস নগরীর পাহাড়তলী হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫ টি মামলায় ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। এছাড়াও লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে সন্ধ্যার পর থেকে আরও দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  মো উমর ফারুক আগ্রাবাদ এলাকায় একটি ফলের দোকান কে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন।

পূর্বকোণ / আরআর/পারভেজ