চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) ওয়ার্ডে কাতরাচ্ছে নয় মাস বয়সী কন্যাশিশু পুষ্পামনি। এর আগে গত মঙ্গলবার ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌর এলাকার নিজ বাড়িতে চাচা মোহাম্মদ মোজাম্মেল (২৬) দ্বারা ধর্ষিত হয় শিশুটি। এদিকে এ ঘটনায় ফটিকছড়ি থানায় মোজ্জাম্মেলকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন শিশুটির মামা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবুল আক্তার পূর্বকোণকে বলেন, ‘মর্মান্তিক এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে’।
শিশুর মামা মোহাম্মদ বাবর পূর্বকোণকে বলেন, ‘আমার বোনের ছোট জা-কে শহরের পিপলস হাসপাতালে ভর্তি করার কারণে মঙ্গলবার সকালে বোনের শ^শুরবাড়ির লোকজন সবাই ওখানে চলে যায়। বাড়িতে আমার বোন আর মোজ্জাম্মেল ছিল। দুপুর দুইটার দিকে চাচার কাছে পুষ্পামনিকে রেখে মা ঘরের বাইরে যায়। এরমধ্যেই মোজ্জাম্মেল ঘরের দরজা বন্ধ করে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে শিশুর চিৎকারে এবং অতিরিক্ত ব্লিডিং শুরু হলে মোজাম্মেল আতংকিত হয়ে তার মায়ের কোলে শিশুকে ছুড়ে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়’। তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে আমার বোন দ্রুত নাজিরহাট মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসকরা তাকে শহরে নিয়ে যেতে বললে আমরা তাকে পিপলস হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু তার অবস্থা খারাপ দেখে সেখানে তাকে রাখেননি। বরং চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে রাত সাড়ে নয়টার দিকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।’
এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে নয় মাস বয়সী ওই শিশুর অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বর্তমানে হাসপাতালের নতুন ভবনের দশতলায় একটি ওয়ার্ডের পরিচর্যায় রাখা হয়েছে।’