চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

লোহাগাড়ায় সূর্যমুখী ফুলে স্বপ্ন রঙিন শফিকের

এম এম আহমদ মনির, লোহাগাড়া

১৯ এপ্রিল, ২০২১ | ১:৩১ অপরাহ্ণ

ব্যবহার ও চাহিদা থাকার কারণে অনেকে বর্তমানে ফুল চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। গোলাপসহ নানা-ফুলের ব্যবহার চলছে পুরোদমে। বর্তমানে এলাকায় চাষ শুরু হয়েছে সূর্যমুখী ফুলের।

উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের হরিণা এলাকায় ডা. এয়াকুব পাড়ার মৃত মো. ইসমাইলের পুত্র শফিক আহমদ বাড়ির পার্শ্বে ৩৩ শতাংশ জায়গায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেন। একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সূর্যমুখী ফুলের চাষে বিঘাপ্রতি জমিতে খরচ হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। ফুল সংগ্রহে কিছু টাকা খরচ হবে। পুরো ফসলে সামান্য রাসায়নিক সার এবং দুইবার সেচ দিতে হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে তিনি সূর্যমুখী ফুল চাষ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি ব্যাপকভাবে এই ফুলের চাষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সূর্যমুখী ফুল চাষ করতে সময় ও খরচ কম হওয়ায় অল্পতেই লাভবান হওয়া যায়।

কৃষি অফিসের উপ-সহকারী টিটু চক্রবর্তী বলেন, লোহাগাড়ায় প্রথম সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। কারণ সয়াবিনের চেয়ে সূর্যমুখীর তেল বেশি পুষ্টিগুণসম্পন্ন। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় এ ফুলের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অন্য ফসলের চেয়ে কম খরচ এবং অধিক লাভ হয়। এ সুবাদে কৃষক শফিক আহমদ এ ফুল চাষে বেশি আগ্রহী হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এ বছর দেশের বিভিন্ন এলাকায় সূর্যমুখী ফুল চাষে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর। চাষিদের উৎসাহিত করার জন্য সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি অধিদপ্তর। সূর্যমুখী ফুল থেকে সূর্যমুখী তেল উৎপাদন করা হয়। এ তেলের চাহিদা ও কদর বেশি। প্রতি কেজি বীজের মূল্য ২২ টাকা।

আর সূর্যমুখী তেলের মূল্য প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। চাষকৃত সূর্যমুখীর তেলের মাধ্যমে দেশে তেলের ঘাটতিও পূরণ করা সম্ভব। এই তেল অনেক পুষ্টিকর এবং অন্য তেলের চেয়ে অনেক ভালো বলে তিনি উল্লেখ করেন। সূর্যমুখী তেল ছাড়াও এর খোসা দিয়ে মাছের খাবার এবং কাণ্ডগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অন্য ফসলের তুলনায় সূর্যমুখীর উৎপাদন অনেক সহজ। পোকা-মাকড়ের কোন আক্রমণ নেই।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট