চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

একবছরে সীতাকুণ্ডে করোনায় মৃত্যু ১৭

সৌমিত্র চক্রবর্তী, সীতাকুণ্ড

১২ এপ্রিল, ২০২১ | ১:৫১ অপরাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে করোনায় আরো এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত মহিলার নাম হোসনে আরা বেগম। তিনি উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বিএম গেট এলাকায় নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ির মৃত ইসমাইল হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী। এ নিয়ে গত একবছরে করোনা মহামারীর  কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অভিমত মৃতদের প্রায় সকলেই চিকিৎসা নিতে গাফিলতি করেছিলেন। আক্রান্ত হবার পরও তারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা বা পরামর্শ নিতে আসেননি। শারীরিক অবস্থার চরম অবনতির পরেই তারা চট্টগ্রামে বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ফলে সেখানে আর কিছু করার ছিলো না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা কিংবা মোবাইলে এই হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নেওয়া প্রতিটি রোগীই সুস্থ হয়েছেন। অসুস্থতা দেখা দেওয়ার পরেও যেসকল রোগী অবহেলা করে বাড়িতে থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চিকিৎসা না নিয়ে হাতুড়ে ডাক্তার কিংবা ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতাদের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ করেছেন, কেবল তাদের অবস্থাই ক্রমশ গুরুতর হয়। শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েও বাঁচতে পারেননি। এভাবে গত একবছরে উপজেলার মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ শনিবার রাতে ভাটিয়ারীর বাসিন্দা হোসনে আরা বেগম চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন জানান, করোনা মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত তারা নমুনা সংগ্রহ করেছেন ২১৬৫ জনের। তাদের নুমনা পরীক্ষার পর মোট ৬১০ জনের করোনা প্রজেটিভ হয়। এদের মধ্যে ৫৫৯ জন হাসপাতালের সংস্পর্শে থেকে কিংবা মোবাইলে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন।

তিনি বলেন, করোনার প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেবার পরপরই যারা আমাদের ফ্লু কর্নারে যোগাযোগ করে নমুনা পরীক্ষাসহ চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের রোগ গুরুতর হয়ে উঠতে পারেনি। তারা সবাই আরোগ্য লাভ করেছেন। তিনি যাদেরই উপসর্গ দেখা দেয় তারা যেন দেরি না করে তার সাথে অথবা হাসপাতালে দ্রুত যোগাযোগ করেন সে অনুরোধ করেন। এছাড়া তিনি সকলকে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করে টিকা গ্রহণেরও অনুরোধ জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন সীতাকু- উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়। তিনি বলেন, আমি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিনের পরামর্শে দ্রুত নমুনা পরীক্ষা করাই আমি। প্রজেটিভ আসার পর তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চালাতে থাকি। এতেই উপকৃত হয়ে দ্রুত আরোগ্য লাভ করি আমি। তিনি বলেন, সকলকে মাস্ক বাধ্যতামূলক করাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট