চট্টগ্রামে নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার থেকেই পুলিশ স্থাপনাগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা এখবর নিশ্চিত করেন।

চট্টগ্রামের রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, “গত ২৬-২৮ মার্চে সংঘটিত ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় একটা বিশেষ গোষ্ঠী পুলিশী স্থাপনাসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় ‘বিনা কারণে’ আক্রমণ করে ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। “ফলে পুলিশের স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।”
এই প্রেক্ষাপটে সিলেট ও নারায়ণগঞ্জের থানাগুলোতে এরই মধ্যে নিরাপত্তা ও জনবল বাড়ানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ জানান, “এমনটা যাতে চট্টগ্রাম নগরীতে না ঘটে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় সেজন্য সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে থানার ওসিদের।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতির কথাও জানানো হয়।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তীর উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করতে গিয়ে ওই গোষ্ঠী হাটহাজারি থানায় আক্রমণ করে। একই সময়ে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, উপজেলা সদর ভূমি অফিসে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে তারা।

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ