চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভূজপুর হত্যাকাণ্ডের ৮ বছর: বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি পরিবারের

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ এপ্রিল, ২০২১ | ৩:২৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধী শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিএনপি-জামায়াতের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের আট বছর পেরিয়ে গেছে। ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় জামায়াত-শিবির। মিছিলে পিটিয়ে হত্যা করা হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ফারুক ইকবাল বিপুল, উপজেলা যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ফোরকান ও ছাত্রলীগ কর্মী মো. রুবেলকে। এ ঘটনায় আহত হন ৩ শতাধিক নেতাকর্মী। যাদের অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করেছেন।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তাণ্ডবে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক ইকবাল বিপুলের স্ত্রী সানজিদা আরফিন নিসু।

লিখিত বক্তব্যে সানজিদা আক্তার নিসু অভিযোগ করে বলেন, ‘আসামিরা ক্ষমতাধর হওয়ায় পুলিশের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে টাকার বিনিময়ে হামলার মূল পরিকল্পণাকারী ইকবাল হোসেন, মোল্লা জালাল ও তৌফিককে মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় আসামিদের অনেকেই আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে। এখন তারাই মামলার বাদীদের হুমকি দিচ্ছে। মূল আসামিদের মামলার চার্জশীট থেকে বাদ দেয়ায় আমরা আদালতে আর্জি দিয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘সেদিন আমার স্বামী বিপুল বিকাল ৪টার মধ্যে ফিরে আসার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। মিছিলে হামলার সময় আমার স্বামী পার্শ্ববর্তী একটি হিন্দু বাড়িতে আশ্রয় নেয়, সেখান থেকে তাকে টেনে নিয়ে যায় আসামিরা। তারপর তাকে পশুর মতো পিটিয়ে হত্যা করে। সেদিন আমার স্বামী আসামিদের পায়ে ধরে বলেছিলো, আমার দুটো ছোট ছোট বাচ্চা আছে, বউ আছে, তাদের কেউ নেই আমি ছাড়া, আমাকে মেরো না। হত্যাকারীরা শুনেনি সেই আকুতি।’

নিহত যুবলীগ নেতা ফোরকানের বোন এ্যানি বলেন, ‘আট বছর ধরে আমার ৬০ বছর বয়সী বাবা এজাহার মিয়া ছেলে হত্যার বিচারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এখন খুবই হতাশ তিনি। ছেলে হারিয়ে সংসারের হাল ধরার কেউ নেই। তার চিকিৎসার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা। আমরা আমার ভাইয়ের হত্যার দ্রুত বিচার চাই। আর যাতে বিচারের কাজ তরান্বিত হয় সেই দাবি জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত যুবলীগ নেতা ফোরকানের বোন এ্যানি আকতার, মা ফেরদৌস বেগম, পিতা এজাহার মিয়া, নিহত ছাত্রলীগ নেতা রুবেলের মা শামসুন নাহার, ভাই শহিদুল আলম।

পূর্বকোণ/এএ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট