চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সংকট নেই তাই শঙ্কাও নেই

ইফতেখারুল ইসলাম

৭ এপ্রিল, ২০২১ | ১২:৩৫ অপরাহ্ণ

পবিত্র রমজান মাসে অধিকতর ব্যবহৃত ছয়টি পণ্যের মজুদ দেশের চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি আছে। কোনো কোনো পণ্যের মজুদ চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ। কেউ কারসাজি না করলে পণ্যের সংকট হবে না। যেহেতু পণ্যের সংকট নেই। তাই এসব পণ্যের দাম বাড়ারও আশঙ্কা নেই বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন সূত্র জানায়, রমজান মাসে ভোজ্য তেলের চাহিদা রয়েছে সাড়ে তিন লাখ টন। দেশের বার্ষিক চাহিদা ২০ লাখ টন। বর্তমানে মজুদ আছে ১৩.৩৩ লাখ টন। রমজানে চিনির চাহিদা রয়েছে তিন লাখ টন। বার্ষিক চাহিদা ১৮ লাখ টন এবং বর্তমানে মজুদ আছে ১৪ দশমিক ১১ লাখ টন। রমজানে ডালের চাহিদা রয়েছে শূন্য দশমিক ৮০ লাখ টন। বার্ষিক চাহিদা ৫ লাখ টন এবং মজুদ আছে তিন দশমিক ০৪ লাখ টন। ছোলার প্রয়োজন শূন্য দশমিক ৮০ লাখ টন। বার্ষিক চাহিদা এক লাখ টন এবং মজুদ আছে এক দশমিক ৬১ লাখ টন। পেঁয়াজের চাহিদা ৫ লাখ টন। বার্ষিক চাহিদা ২৫ লাখ টন এবং মজুদ আছে ১৩ দশমিক ০৭ লাখ টন। খেজুরের চাহিদা শূন্য দশমিক ২০ লাখ টন। বার্ষিক চাহিদা শূন্য দশমিক ২৫ লাখ টন এবং মজুদ আছে শূন্য দশমিক ৩৭ লাখ টন।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন, রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী আমদানি ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যাপ্ত চাল, ডাল, ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনি, গম পেঁয়াজ, মসলাপাতি এবং খেজুর আমদানি করেছে। রমজানকে সামনে রেখে গত কয়েক মাসে চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে সস্তায় ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ এবং খেজুরের মত ভোগ্যপণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানির উপর শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানির উপর শুল্ক হ্রাস/যৌক্তিককরণের অনুরোধ জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্পেশাল টাস্কফোর্স গঠন করেছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিত বাজার মনিটরিং হচ্ছে। বাজারে কোথাও কোনো সিন্ডিকেট বা কার্টেল সংগঠিত হচ্ছে কিনা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। সুতরাং রমজানের সময় অধিক ব্যবহৃত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কোন সংকট হবে না। যেহেতু সংকট নেই তাই দাম বাড়ারও আশঙ্কা নেই।

বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের উদ্ধৃতি দিয়ে মফিজুল ইসলাম বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসায় চট্টগ্রামের ভূমিকা অগ্রণী। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের প্রয়োজনের শতভাগ চিনি এবং খেজুর আমদানি হয়। ৯৮ শতাংশ ভোজ্যতেল, ৯৫ শতাংশ রসুন, ছোলা, ডাল এবং অন্যান্য ডাল জাতীয় পণ্য ৯৫ শতাংশ, আদা, এলাচ এবং দারচিনি ৫০ শতাংশ আমদানি হয়। পেঁয়াজ আমদানি হয় ১০ শতাংশ। যেহেতু অধিকাংশ ভোগ্যপণ্য চট্টগ্রাম দিয়ে আমদানি হয় তাই বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন প্রথমেই চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের নিয়ে সেমিনার করেছে। চট্টগ্রাম নিয়ে কাজ করছে। কমিশনের কাজ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে। রমজানে পণ্যমূল্য সহনীয় রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ এবং নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট