চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

জুলাই থেকে নগরীর পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান

পূর্বকোণ ডেস্ক

২৫ জুন, ২০১৯ | ১:৫৫ অপরাহ্ণ

এপ্রিলের মধ্যেই পাহাড়ের মালিকরা নিজ উদ্যোগে অবৈধ বসবাসকারীদের অপসারণের কথা দিলেও সরকারি সংস্থা কিংবা ব্যক্তি মালিক কেউই সে কথা রাখেনি। তাই চলতি বর্ষায় চট্টগ্রামের পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বসতি উচ্ছেদ কার্যক্রম নিজ হাতেই তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

রমজান ও ঈদের কারণে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর এ সংক্রান্ত উপ-কমিটি আগামী ১ জুলাই থেকে আবারো উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মো. আজাদুর রহমান মল্লিক জানান, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি মাসের শেষ দিকে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সব সংস্থার সমন্বয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান চলবে। উচ্ছেদ অভিযানের শুরুতে বিদ্যুৎ, ওয়াসা ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বর্ষাকে সামনে রেখে গত ১৬ এপ্রিল পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৯তম সভায় এক মাসের মধ্যে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে সময় ১৫ মের মধ্যে পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ এবং ৩০ এপ্রিলের মধ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়। পাহাড় মালিকরা নিজ উদ্যোগে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে জানান। তবে এখনো তারা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেনি। সরকারি কোনো সংস্থাও সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেনি।

অবশেষে গতকাল (২৪ জুন) পরিবেশ অধিদপ্তরের হালদা কনফারেন্সে উচ্ছেদ সংক্রান্ত কর্মপন্থা নির্ধারণী সভায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আবারো উচ্ছেদ শুরুর সিদ্ধান্ত নেন।

নগরীতে ১৭ পাহাড়ে ৮৩৫ পরিবারকে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী হিসেবে চিহ্নিত করে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে রয়েছে ৫৩১টি পরিবার আর সরকারি মালিকানাধীন ৭ পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীর পরিবারের সংখ্যা ৩০৪। সরকারি পাহাড়গুলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ওয়াসার আওতাধীন বলে জানা গেছে।

 

পূর্বকোণ/ময়মী

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট