চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বরাদ্দ ৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা

১৩ সেতু নির্মাণে ঠিকাদার নিয়োগ শীঘ্রই

চন্দনাইশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ

২৫ জুন, ২০১৯ | ১:১৫ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশ উপজেলার গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু কালভার্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের চলতি অর্থবছরে ৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর কাজে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগে ৬ লক্ষ টাকার সিডিউল বিক্রি হয়েছে।
জানা যায়, সারাদেশের ন্যায় চলতি অর্থ বছরের চন্দনাইশে গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু কালভার্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে চন্দনাইশে ১৩টি সেতু নির্মাণের জন্য ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১৩টি প্রকল্পের মধ্যে জোয়ারা ইউনিয়নে ৫টি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে জোয়ারা ইউনিয়নে কুলালপাড়া হারগি খালের ওপর ব্রিজ ১৮ লক্ষ ২৭ হাজার টাকায়, উত্তর জোয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কে ব্রিজ ২২ লক্ষ ৮১ হাজার টাকায়, কুলালপাড়া খারজি খালে ব্রিজ ১৮ লক্ষ ২৭ হাজার টাকায়, নগরপাড়া মাইজপাড়া বাইগ্যাছড়ি খালের উপর ব্রিজ ১৫ লক্ষ ১২ হাজার টাকায়, হিন্দুপাড়া বৈদ্য বাড়ির সামনে ব্রিজ ১৮ লক্ষ ২৬ হাজার টাকায়, ফতেহ আলী চৌধুরী সড়কের মুন্না ছড়ার ওপর ব্রিজ ১৮ লক্ষ ২৬ হাজার টাকায়। চন্দনাইশ পৌরসভায় দক্ষিণ হারলা নিদারামপুর সড়কে সেতু ৩২ লক্ষ ৪১ হাজার টাকায়, দক্ষিণ হারলা সওদাগর সড়কের সংযোগ সেতু ৩২ লক্ষ ৪১ হাজার ৫শ টাকায়, নিদারামপুর বরুমতি খালের ওপর সেতু ২৫ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকায়, কাঞ্চনাবাদে খা-ার বিল সড়কে সেতু ২৫ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকায়, বরমাতে এসপি দেলোয়ার হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কে সেতু ৩২ লক্ষ ৪১ হাজার টাকায়, হাশিমপুর মোজাহেরপাড়া এবাদত খানা সড়কে সেতু ২৫ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকায়, ধোপাছড়ি মরাছড়ার ওপর সেতু ৩২ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে। গত ১৯ জুন নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নোটিশের মাধ্যমে ১ দিনের সময় দিয়ে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। গত ২০ জুন এ সকল প্রকল্পের অধীনে ২ হাজার ৫ শতের অধিক সিডিঊল বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকারিভাবে জুন ক্লোজিংয়ের মধ্যে স্বল্প সময়ে সারা বাংলাদেশে এ টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। তাই ২০ জুনের অধিক সময় দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে প্রতিটি প্রকল্পে ৪৫ থেকে ৫০টির অধিক সিডিউল বিক্রি হয়েছে। প্রতিটি সিডিউল ১ হাজার ৫শ টাকা করে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার সিডিউল বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা বলেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গত ১৬ জুন মন্ত্রণালয় স্বাক্ষর নিয়ে অর্থ দিয়েছেন। সংবাদ পেয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রকল্পগুলো গ্রহণ করে সিডিউল তৈরি ও বিক্রি করতে হয়েছে। ২০ জুনের মধ্যে নীতিমালা অনুযায়ী সিডিউল বিক্রি করার কথা থাকায় ঠিকাদাররা সময় কম পেয়েছেন। টেন্ডার বক্স ঠিকাদারদের সম্মুখে খোলার পর যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে প্রকাশ্যে লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট