চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

’৭০ এর নির্বাচনের পর থেকেই মূলত আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করি

আনোয়ারুল আজিম 

২৬ মার্চ, ২০২১ | ৫:০৫ অপরাহ্ণ

’৭০ সালে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে নাজিরহাট সোসাইটি মাঠে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু ফটিকছড়ি আসেন। সেদিন বঙ্গবন্ধু আসার কথা ছিল সকাল দশটায়। কিন্ত পথে পথে অগণিত মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বঙ্গবন্ধু নাজিরহাট আসতে প্রায় রাত ন’টা বেজে যায়। সেদিন দিনভর অভুক্ত বঙ্গবন্ধুকে নাজিরহাটের ভোলা সওদাগর একটা ডাব কেটে কোন রকমে খাওয়াতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু একটি হাদিস দিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। সেদিন যারা বলেছিল বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশ থেকে ইসলাম চলে যাবে মূলত তাদের উদ্দেশেই বঙ্গবন্ধু এমন হাদিস উচ্চারণ করেছিলেন। সেদিন বঙ্গবন্ধুর আসার খবরে আশপাশের এলাকা থেকে রাতের আঁধারে হারিকেন নিয়ে, কত্তি বাতি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখার জন্য সোসাইটি মাঠে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।

 

’৭০ এর নির্বাচনের কিছুদিন পর তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পটিয়ার এস এম ইউসুফ ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মান্নান (প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী) আমাকে বলে ছাত্রদের অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিতে দুটি গোপন জায়গা ঠিক করতে। সে সময় আমি নাজিরহাট কলেজ থেকে ছাত্রলীগের হয়ে ভিপি নির্বাচিত হয়েছি। তাঁদের কথামত আমি অস্ত্রের প্রশিক্ষণের জন্য একটি খীরামে ও অপরটি শোভনছড়িতে দুটি জায়গা ঠিক করি। সেই সাথে গোপনে অস্ত্র সংগ্রহের কাজও শুরু করি। এক পর্যায়ে নাজিরহাট কলেজের পশ্চিম পাশে মোজাফ্ফর চৌধুরীর নিকট থেকে একটি ও নাজিরহাট দৌলতপুরের আক্তার কামালের নিকট থেকে আরেকটি বন্দুক সংগ্রহ করি। এছাড়া ফটিকছড়ি থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সমিতিরহাটের মরহুম ছালে আহমদ চৌধুরীর মাধ্যমে টেকনাফের কিছু চোর ডাকাতের নিকট থেকে একটি রিভলভার, ৫/৬টি গুলি ও দুটি কাটা বন্দুক কিনে আনি। কিন্ত অস্ত্রগুলো নিয়ে এসে দেখি এর সব গুলোই অকেজো। এছাড়া প্রশিক্ষণের জন্য বেশ কয়েকটি ডামি রাইফেলও তৈরি করে নিই।

 

৭০ এর নির্বাচনের পর থেকেই মূলত আমরা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করি। এসব করতে করতে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রায় শেষ দিকে এসে যায়। একদিন বিকেলে আমরা কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব মিলে নাজিরহাট কলেজের পশ্চিম পাশে পুরাতন রেল ষ্টেশনে হাঁটার সময় দেখি রেল লাইন ধরে অপরিচিত কয়েকজন যুবক দক্ষিণ দিক থেকে হেঁটে আসছে। তাদের দেখে সন্দেহ হওয়ায় আমরা তাদের ঘিরে ফেলে তল্লাশি করি। তাদের কাছ থেকে একটি চাইনিজ রাইফেল আর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করি। জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছি এসব যুবকের বাড়ি উত্তরবঙ্গে। তাদের থেকে অস্ত্রটি নিয়ে তাদের কয়েকদিন আটক করে রাখি। এসব অস্ত্র দিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। একদিন কলেজের ছাত্র সংসদের সবাইকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করছিলাম। সেদিন ছিল পহেলা মার্চ। রেডিওতে ইয়াহিয়া খানের ভাষণ তথা জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করার ঘোষণা শুনে সবার মাথায় যেন আগুন ধরে গেলো। তৎক্ষণাৎ কলেজের ৫/৬হাজার ছাত্রকে নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের করলাম। মিছিলটা দক্ষিণ দিকে কাটিরহাট পর্যন্ত যেতে যেতে মিছিলে প্রায় ১০/১৫ হাজার মানুষ সামিল হয়ে গেলো। সেদিন আমাদের স্লোগান ছিল “ইয়াহিয়ার মুখে লাথি মারো-বাংলাদেশ স্বাধীন করো” ভুট্টোর মুখে লাথি মারো-বাংলাদেশ স্বাধীন করো”।

এর মধ্যে ৭মার্চ বঙ্গবন্ধু ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে মুক্তিযুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিয়ে কালজয়ী বক্তব্য রাখলেন। তাঁর সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ফটিকছড়িতে সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা আলমকে আহবায়ক করে মোট ৭ কি ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। বাকি সদস্যদের নাম এখন আর মনে নেই। তখন আমার উপর দায়িত্ব পড়েছিল অস্ত্র ও রসদ সংগ্রহের। তখন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সারা পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন চলছে।

এদিকে দেশের পরিস্থিতি দিন দিন উত্তপ্ত থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। পাকিস্তানিদের সাথে বাঙালিদের সংঘাত এক রকম অনিবার্য হয়ে উঠছে। ২৫মার্চ সকালে পরিস্থিতি বুঝতে আমি, নুরআলী মিয়ারহাটের হাবিবুর রহমান চৌধুরী ও মো. ্ইউনুচ তিনজন মিলে চট্টগ্রাম শহরে যাই। যেহেতু অসহযোগ আন্দোলনের কারণে গাড়ি চলছিল না সেহেতু পায়ে হেঁটে শহরে পৌঁছতে প্রায় বিকেল হয়ে যায়। সেখানে কানাঘুষা শুনলাম আজই নাকি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন।

এসব দেখে আমি আর হাবিবুর রহমান শহর থেকে পায়ে হেঁটে আবার নাজিরহাটের দিকে রওয়ানা দিই। সাথে যাওয়া ইউনুচ শহরেই থেকে গেলো। আমরা যখন আসার পথে চট্টগ্রাম সেনা নিবাস এলাকা অতিক্রম করছিলাম সেখানে প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শুনি। তখন শহর ছেড়ে উত্তর দিকে চলে আসা হাজার হাজার মানুষ ভয়ে রাস্তা ছেড়ে বিলে নেমে যায়। আমাদের অনুমান সেনানিবাসে পাকিস্তানিরা বাঙালি সেনাদের মারছে। সেদিন আমরা নাজিরহাটে আসতে আসতে প্রায় সকাল হয়ে যায়। এসে শুনি গতরাতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছেন। অতপর বাদশা আলম মাইকের ব্যবস্থা করে দিলে আমরা রিকশায় মাইক বেঁধে বঙ্গবন্ধুর সেই ঘোষণা নাজিরহাট ফটিকছড়িতে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে থাকি। উল্লেখ্য সেই সময় সমগ্র ফটিকছড়ির রাজনীতি নাজিরহাট কলেজ এবং নাজিরহাটকে ঘিরেই আবর্তিত হতো।

২৭ কি ২৮ তারিখে (সঠিক তারিখ এখন আর মনে নেই।) সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, পাঞ্জাবিরা গাড়ি বহর নিয়ে নাজিরহাট চলে এসেছে। তাদের গাড়ি নাজিরহাট বাজারের দক্ষিণ পাশে নাপিতের পোলের কাছে দাঁড়িয়েছে। এদিকে আমরা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা পাঞ্জাবিদের আগমন ঠেকাতে নাজিরহাট বাজার এবং নাজিরহাট ব্রিজের উপর বড় বড় কাঠের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে রাখি। পাঞ্জাবি আসার খবরে বাজারের প্রায় মানুষ এদিক সেদিক পালিয়ে যাচ্ছে। আমি একটা সাইকেল নিয়ে ভয়ে ভয়ে এগিয়ে যাই। কাছে গিয়ে দেখি ওরা বাঙালি সৈনিক। তাদের প্রথম গাড়িটা খারাপ হওয়ায় পেছনের গুলোও দাঁড়িয়ে আছে। পরিচয় পেলাম মেজর জিয়াউর রহমান ৭/৮টি ট্রাকে করে এখানে এসেছেন। তড়িঘড়ি করে রাস্তায় দেওয়া ব্যারিকেড সরিয়ে দিলাম। তিনি আমাদের মাদ্রাসা ক্যাম্পে এসেই বলেন, ভালো খাবার দাবারের ব্যবস্থা করতে। উনার কথাটা কেমন একটু দৃষ্টিকটু মনে হলো। সে সময় ক্যাম্পের খাবার দাবারের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন আক্তার কামাল। জিয়াউর রহমান আমাদের নাজিরহাটের ক্যাম্পে একরাত থেকে পরদিনই তার বাহিনী নিয়ে রামগড়ের দিকে চলে যায়।

অপরদিকে মেজর রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ইপিআর বাহিনী প্রতিরোধ যুদ্ধ চালাতে চালাতে তিনি পশ্চাৎপসারণ করে নাজরহাটে এসে আস্তানা গাড়েন। তিনি পশ্চিমে উদালিয়া চা বাগান, মাঝে হালদা নদী, রাস্তা প্রভৃতিতে এম্বুশ করেন। তিনি এবং তাঁর সাথে থাকা মেজর ভুঁইয়া নামে একজন নাজিরহাটে বাদশা আলমের বাড়িতে বসে এসব প্ল্যান ঠিক করতেন।

এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে পাক বাহিনীর হাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পতন হবার পর হাটহাজারীর তৎকালীন এমপিএ এম এ ওহাব মিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এ আর মল্লিক প্রমুখের নেতৃত্বে আরো একটি দল তখন নাজিরহাটে এসে আমাদের ক্যাম্পে আস্তানা গাড়ে। তখন প্রতিদিন হাজার হাজার শরণার্থীর উত্তরমুখী স্্েরাত। সবার গন্তব্য রামগড়। এপ্রিল মাসের ১৩কি ১৪তারিখে পাক বাহিনী নাজিরহাট আক্রমণ করে। তখন আমরা নাজিরহাট ছেড়ে ৪/৫টি বিআরটিসির বাসে করে খাদ্য, রসদপত্র, অস্ত্র, গোলাবারুদ নিয়ে রামগড়ের উদ্দেশ্যে নাজিরহাট ত্যাগ করি। সে সময় দেশের জন্য সবার চোখ দিয়ে অঝোরে জল ঝরছে। সে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। সে সময় ফটিকছড়ির এমপিএ মির্জা আবু মনসুরের জিপে এম এ ওহাব, ড. এ আর মল্লিকসহ কয়েকজন এবং উদালিয়া চা বাগানের ম্যানেজারের দেওয়া একটি জিপে আমরা কয়েকজন মিলে বাসগুলোসহ রওয়ানা হলাম। কিন্ত বিবিরহাট বাজারে (বর্তমান ফটিকছড়ি উপজেলা সদর) এসে দেখি কিছু মানুষ পাকিস্তানি পতাকা হাতে নিয়ে পাক বাহিনীকে স্বাগত জানাতে রাস্তার পাশে লাইন করে দাঁড়িয়ে আছে। দৃশ্যটি দেখে সবার মনে খুব কষ্ট হলো। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম। এ যাওয়া শেষ যাওয়া নয়, আবার আসছি। তখন দেখা হবে। বাসগুলো বিবিরহাটের কাছে এসে থেমে যায়। উত্তর দিকে বাস চলার মত রাস্তা তখন ছিল না। আমাদের অস্ত্র গোলা-বারুদ রসদ পত্র এস এম ফারুকের নেতৃত্বে নৌকায় করে হালদা নদী দিয়ে উত্তর দিকে নিয়ে যাবার দায়িত্ব ছিল। আমরা বাকি দুটি জিপে করে রামগড়ের দিকে চলে যাই।
আমরা যখন রামগড় গিয়ে একটি কলা বাগানে আশ্রয় নিই সেখানে তখন প্রচুর মানুষ। সেখানে ইপিআর, পুলিশ সদস্য, সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে আসা বাঙালি সেনা, দলীয় নেতা কর্মী আশ্রয় নেয়। সেখানে রামগড় হাইস্কুল মাঠে সেনা ও ইপিআর সদস্যরা যুবকদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে। কিন্ত মে মাসের ১কি ২তারিখ পাক বাহিনী তিনদিক থেকে রামগড় আক্রমণ করে। পক্ষান্তরে বাঙালি সৈনিকরা ও সাহসিকতার সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করে। সীমান্তের ওপার থেকে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বিএস এফ ও বাঙালিদের গান সাপোর্ট দিতে থাকে। ইতোমধ্যে আমরা রসদপত্র, তাঁবুসহ প্রয়োজনীয় মালামাল সীমান্তের ওপারে পার করে ফেলেছি। এক সময় আমরা সীমান্তের ওপারে চলে যাই। যাবার সময় দেশের মাটি নিয়ে কেউ গায়ে মাখছে, কেউ কপালে ঠেকাচ্ছে, সেই সাথে সে কি হৃদয় নিঙরানো কান্না। জানিনা আর দেশের মাটিতে জীবিত ফিরতে পারবো কিনা? এসব ভেবে সবাই তখন কান্না জড়িত হয়ে সীমান্ত পার হচ্ছে।
ওপারে গিয়ে বগাফা এলাকায় ট্রেনিং নিতে আমাদের সাথে যাওয়া যুবকদের থেকে ৪০ জনের একটি দলকে পাঠাই। তাদের মধ্যে ডা. সফররাজ খানের কথা মনে আছে। বাকিদের নাম এখন আর মনে নেই। এর আগে তথা আমরা রামগড় থাকতে থাকতে অনেকেই ট্রেনিং নিয়ে ফিরে দেশের মধ্যে অপারেশন চালাতে ঢুকে গেছে। এর মধ্যে পটিয়ার প্রফেসার সামসুল ইসলাম, সামসুদ্দিন, ফটিকছড়ির দবিরুল আলম প্রমুখের কথা মনে আছে।
এদিকে হরিনা ক্যাম্পে গিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করি আমরা। সেখানে ট্রেনিং এর পাশাপাশি আমাদের প্রতিরাতে সীমান্তের ওপারে থেকে এপারে পাক হানাদার বাহিনীর উপর ছোট খাটো অভিযান চালানোর দায়িত্ব দিত ভারতীয় সেনারা। একদিন এরকম সীমান্তে অপারেশনে গিয়ে আমাদের সাথে যাওয়া জহুরুল ইসলামকে আর ফিরতে না দেখে চিন্তিত হই। জহুরুল ইসলাম হালদা নদীতে নৌকা চালাতেন। বেশ লম্বা চওড়া দেহ হবার কারণে পাড়া পড়শিরা তাকে বলে তুই ভারতে চলে যা। এখানে থাকলে পাঞ্জাবিরা তোকে ইপিআর ভেবে মেরে ফেলবে। দুই তিনমাস আগে বিয়ে করেছে জহুরুল ইসলাম। তার বৌ টাও তখন গর্ভবতী। পাড়ার লোকের কথা শুনে তার রামগড় যাওয়া এবং সেখান থেকে আমাদের সাথে ওপারে যাওয়া। তাকে অপারেশন থেকে ফিরে না আসতে দেখে অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানলাম জহুরুল ইসলাম সীমান্তে যুদ্ধ করতে গিয়ে পাক বাহিনীর গুলিতে শহীদ হয়েছেন। আমাদের প্রথম শহীদ জহরুল ইসলাম। যুদ্ধ শেষে দেশে এসে দেখি তার একটা মেয়ে হয়েছে। যে মেয়ে জন্মাবধি পিতার মুখ কোনদিন দেখেনি। অতপর আমরা প্রশিক্ষণ শেষে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় দেশে এসে মুক্তিযুদ্ধে সামিল হই।

গ্রন্থনা অনুলিখন- বিশ্বজিৎ রাহা

পূর্বকোণ/মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট