চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভুয়া মালিক সেজে ভূমি অধিগ্রহণ মামলা কারাগারে পিতা-পুত্র

আদালত প্রতিবেদক

২৯ এপ্রিল, ২০১৯ | ২:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ভুয়া মালিক সেজে ভূমি অধিগ্রহণের ১ কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার ২৭৩ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে তুলে নেয়ার ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পিতা ও দুই পুত্রকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. আকবর হোসেন মৃধা’র আদালতে অভিযুক্তগণ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত অভিযুক্তদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন, বায়েজিদ থানার ওয়াজেদিয়া শহীদনগরের মৃত উজির মিয়ার ছেলে মো. হাফিজুর রহমান, তার দুই ছেলে মিজানুর রহমান ও মো. পারভেজ আলম।
দুদক পিপি এডভোকেট আবদুল হান্নান দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, আসামিরা জেলা প্রশাসক দপ্তরের ভূমি অধিগ্রহণ বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন লাভ করেন। জামিনের মেয়াদ শেষে মহানগর দায়রা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান আসামিরা। এ মামলার ঘটনার সাথে বিশাল চক্র জড়িত। সরকারের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীও জড়িত রয়েছে এ ঘটনায়। তাই আমরা আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করেছি। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
আদালতসূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৩ জুন পর্যন্ত আসামিরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বঞ্চিত করে নিজেরা ভূমি মালিক সেজে ওই টাকা সরকারি কোষাগার থেকে তুলে নিয়ে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ বিভাগের অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা দেবতোষ চক্রবর্তী, জেলা প্রশাসনের সার্ভেয়ার নুর চৌধুরী, আমানাতুন মাওলা, আশিষ চৌধুরী, ভূমি অধিগ্রহণ বিভাগের কানুনগো সুশীল বিকাশ চাকমাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে এ বছর ৪ জানুয়ারি কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাফর আলম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক পিপি বলেন, ওই তিন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও জেলা প্রশাসন অফিসের আসামিরা এখনো আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। উপরন্তু তারা দিব্যি ডিসি অফিসে কাজ করে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট