চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চবি শাহজালাল হলের প্রভোস্ট ড. সুলতানকে অব্যাহতি

নিজস্ব সংবাদদাতা

২৯ এপ্রিল, ২০১৯ | ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ। তবে অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদের দাবি, নিয়োগ বোর্ডে ছাত্রলীগের পছন্দের ব্যক্তিকে সুপারিশ না করায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি মহল উষ্কানি দিচ্ছে।
প্রভোস্টের অব্যাহতির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার পূর্বকোণকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবারই অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদকে প্রভোস্ট পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শাহেদ বিন ছাদিক প্রভোস্ট পদে দায়িত্ব পালন করবেন।’
হলের সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের সাথে রোববার উপাচার্য এবং প্রভোস্টের মিটিং হওয়ার কথা ছিল, তা অনুষ্ঠিত হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি কিছু জানেন না এবং বিষয়গুলো উপাচার্যের এখতিয়ার বলে জানান রেজিস্ট্রার।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে প্রভোস্টের পদত্যাগ ও আবাসিক হলের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে হলের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ৮ দফা দাবি দেয় তারা। পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ২৮ এপ্রিল (রোববার ) উপাচার্য এবং প্রভোস্টের উপস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যপারে অধ্যাপক সুলতান আহমদ পূর্বকোণকে বলেন, “সিলেকশন বোর্ডকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের পেসক্রিপশন মত নিয়োগে সুপারিশ না করায় একটি মহল আমার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে উষ্কানি দিচ্ছে। সিলেকশন বোর্ডে কি হয়েছে তা বোর্ডের সদস্যরা ছাড়া আর কেউ জানার কথা নয়। পরিকল্পিতভাবেই পুরো বিষয়টি ঘটানো হয়েছে। যারা আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তারাই আবার আমার কাছে এসে ক্ষমা চেয়েছে। সেই সাথে সবকিছু স্বীকারও করেছে।”
তিনি আরো বলেন, ছাত্রদেরকে মিস গাইড করা হয়েছে তা আমি বুঝতে পেরেছি। পত্র পত্রিকায় উপাচার্য প্যানেলে আমার নাম আসার কথা শুনে এইগুলো নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে। তাই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে আমি উপাচার্যকে অনুরোধ করেছি।’
জানা গেছে, অধ্যাপক ড. সুলতান আহমদ বেশ কয়েক বছর ধরে প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলে আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সাথে তিনি প্রভোস্ট ক্যাটাগরিতে সিন্ডিকেট সদস্যের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু প্রভোস্ট পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্ষদ সিন্ডিকেট থেকে ছিটকে পড়েছেন তিনি। এদিকে দলের আহ্বায়কের এমন অব্যাহতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন প্রগতিশীল শিক্ষক।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট