২৪ জুন, ২০১৯ | ২:০৯ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
টাইগারপাস মিঠা পাহাড় ঘেঁষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অস্থায়ী কার্যালয়ে মেয়র বসার জন্য যে অফিস কক্ষটি সাজানো-গুছানো হয়েছে সেটি আন্দরকিল্লা নগর ভবনের অফিসের চেয়ে আয়তনে কিছুটা ছোট। তবে পুরনো অফিসের চেয়ে এখানে আলো এবং চারপাশের সবুজের পরিমাণ অনেক বেশি। ভবনের চারপাশে সবুজ আর সবুজ। এখানে নেই কোলাহল। নেই গাড়ির হর্নের বিরক্তি। আছে নির্মল পরিবেশে কাজ করার সুযোগ। বিষয়টি স্বীকার করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পূর্বকোণকে বলেন, অস্থায়ী কার্যালয় হলেও এখানে নির্মল পরিবেশে কাজের সুযোগ আছে। পরিবেশ ভাল হলে মন প্রফুল্ল থাকে। তাতে কাজও ভাল হয়। মেয়র বলেন, এই ভবনটি অস্থায়ীভাবে চসিকের কার্যালয় হিসেবে
ব্যবহার করা হবে। আন্দরকিল্লায় পুরনো ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। ওই ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে তখন সকল কার্যক্রম সেখান থেকেই পরিচালিত হবে। অস্থায়ী কার্যালয়টি কিছুটা ছোট। তবুও সবাই মানিয়ে নিয়ে কাজ করবে। তাতে সেবার মানে কোন প্রভাব পড়বে না বলে উল্লেখ করেন মেয়র।
গতকাল সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, আন্দরকিল্লাস্থ নগর ভবনে মেয়রের অফিসকক্ষে যেসব চেয়ার, টেবিল ও সোফাসেট ছিল সব এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে সাক্ষাতপ্রার্থীদের চেয়ার কয়েকটা কমানো হয়েছে। অফিস কক্ষের সিঙ্কটা সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন করে। পুরনো অফিসের জায়গা একটু কম হলেও কিছু নতুনত্ব আনা হয়েছে। একপাশে বসানো হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং চসিকের পতাকা। জাতীয় পতাকার পাশে বসানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। আর চসিকের পতাকার পাশে বসানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি।
নতুন ভবনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষটি গুছানো হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য কর্মকর্তাদের কক্ষগুলির ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ চলছে। ভবনের উপরে-নিচে সর্বত্র কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মচারীরা নিজ নিজ দপ্তরের ফাইল গুছিয়ে রাখছেন।
গতকাল সকালে অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। মেয়র টাইগারপাস চসিকের এ অস্থায়ী কার্যালয়ে পৌঁছলে চসিক প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং চসিকের কর্মকর্তা কর্মচারীগণসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মেয়রকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। কার্যালয় গেট থেকে তিনি সরাসরি নিচ তলায় অবস্থিত কনফারেন্স হলের পূর্ব নির্ধারিত দোয়া মাহফিল ও মোনাজাতে অংশ গ্রহণ করেন। দোয়া মাহফিলে চসিক কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চসিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মাহফিলের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত তাঁর দপ্তরে যান এবং তিনি নিজ চেয়ারে বসে লালখানবাজার ওয়ার্ডের কয়েকটি সড়ক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের অনুমোদন দেন। এরমধ্যে দিয়ে নগরীর টাইগারপাসে সিটি মেয়র নতুন কার্যালয়ে তার কর্মদিবস শুরু করেন। এসময় তিনি চট্টগ্রাম নগরকে একটি পরিবেশবান্ধব বিশ্বমানের নগর প্রতিষ্ঠায় সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।