চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ব্যবসায়ীদের দাবি কাগজ আমদানিতে শুল্ক কমাতে হবে

২৩ জুন, ২০১৯ | ১:৩১ পূর্বাহ্ণ

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের মুদ্রণ, প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে এই খাতের ছয় ব্যবসায়ী সংগঠন।
শনিবার রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনয়াতনে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পেপার ইম্পোটার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম ভরসা, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত, বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুর রহমান পর্বত, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল এবং মেট্রোপলিটন প্রেস ওনার্স এসাসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান উজ্জ্বল।-বাসস। ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের মুদ্রণ প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট পেপার, আর্ট কার্ড, সুইডিস বোর্ড, ফোল্ডিং বক্স বোর্ড এবং সেলফ এডহেসিভ পেপারের বিপুল চাহিদা থাকলেও এসব পণ্যের আমদানিতে সর্বোচ্চ হারে শুল্ক বিদ্যমান রয়েছে। এর ফলে বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাঁচামাল অবৈধভাবে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে অবৈধ ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বড় অংকের রাজস্ব। পাশাপাশি প্রকৃত ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা বলেন, রপ্তানিকারকদের বন্ড সুবিধা অব্যাহত রেখে বাণিজ্যিকভাবে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বিদেশি কাগজ আমদানি করার সুযোগ দিলে বন্ডের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ হবে ও বাজার স্থিতিশীল হবে। সরকারি রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে। একইসঙ্গে এদেশের মুদ্রণ শিল্প হবে আরো বিকশিত। সংগঠনগুলোর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনীয়াবাত বলেন, বন্ড সুবিধার আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো-আমদানি হওয়া কাগজ পণ্য খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে, সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বন্ড সুবিধায় আমদানি হওয়া কাগজ পণ্য ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মুনাফা ধরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে অবৈধ ব্যবসায়িরা লাভবান হয়। সরকার বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে।
তিনি বলেন, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের চাহিদার ভিত্তিতে শুধুমাত্র ৩০০ গ্রাম ও তদুর্ধ্ব গ্রামের কাগজ ও বোর্ড বন্ড সুবিধায় আমদানি করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে বন্ড সুবিধা ভোগকারী কিছু প্রতিষ্ঠান সরকারি এই নীতিমালাও লংঘন করে নির্বিচারে বিভিন্ন গ্রামের কাগজ ও বোর্ড আমদানি করছে। বন্ড সুবিধার আওতায় শূন্য শুল্কে আমদানি করা ৩০০ গ্রামের চেয়ে কম ওজনের এ সকল কাগজ ও বোর্ড (যেমন- ডুপ্লেক্স বোর্ড, ফোল্ডিং বক্স বোর্ড ইত্যাদি) খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট