চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দেশে করোনার এক বছর: যুদ্ধে নেমেছি, বিজয় আসবেই

ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির 

৮ মার্চ, ২০২১ | ৩:৩৬ অপরাহ্ণ

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে যখন করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে, তখনই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে বারবার সর্তক বার্তা আসতে থাকে। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, দেশের প্রধানতম সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর ও হযরত শাহ আমান্ত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। বিদেশ ফেরত যাত্রী, পাইলট, ক্রু এবং নাবিকরাই মূলত এ ভাইরাসের বাহক ছিল এমন ধারণায় শুরু থেকেই এ দুটো বন্দরেই তদারকির উপর জোর দেয়া শুরু হয়। যদিও দিন গড়াতেই নতুন নতুন সিদ্ধান্ত আসা শুরু করে। মনে সাহস নিয়েই কাজ করেছি। চেষ্টা করেছি যেকোন কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমস্যা কাল বিলম্ব না করে সিদ্ধান্ত দিতে। দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার খবরে আরও শক্ত অবস্থানের সিদ্ধান্ত আসে। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামেও এপ্রিলে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ওই দিন মনে হয়েছিল যেন চারদিকে অন্ধকার, শুধুই অন্ধকার। পুরো শহরেই যেন অজানা এক আশঙ্কায় নীর নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে। বিশ্বাস ছিল, যুদ্ধে নেমেছি, বিজয় আসবেই।

একদিকে চট্টগ্রামের মানুষকে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা, অন্যদিকে কেউ যদি আক্রান্ত হয়ে থাকেন কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাদের শতভাগ সেবা পৌঁছে দেয়া। সব কিছুই ছিল এক বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, পুরো বিভাগে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডিই ছিল একমাত্র ভরসা। নমুনার চাপ, সঠিক সময়ে ফল প্রকাশ করা সবকিছুই ছিল যুদ্ধের মতো। তবুও দিনরাত মাঠে থেকে কাজগুলো করেছি। বিভাগের একটি থেকে আজ ১০টি সরকারিসহ ১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব ও ২টি আরটিআরএল এবং ৬টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে রেপিড এন্টিজেন টেস্ট শুরু করতে পেরেছি। প্রথম দিকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে কিছুটা হিমশিম খেতে হলেও পরবর্তীতে তা সকলের সহযোগিতায় সমাধান করতে পেরেছি। এখন মনে হচ্ছে যুদ্ধে নেমে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।

লেখক : পরিচালক (স্বাস্থ্য দপ্তর), চট্টগ্রাম  বিভাগ।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট