করোনাকালে দেশে মারা যাওয়া ২ হাজার ৬০ জনের গোসল, দাফন ও সৎকার করেছে গাউসিয়া কমিটির মানবিক কর্মীরা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৬৭ জন, মুক্তিযোদ্ধা ৩৫ জন, হিন্দু ২৫ জন, বৌদ্ধ ৩ জন এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের ১২ জন। এছাড়া শতাধিক সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন সেবা পেয়েছে ১২ হাজার ৫৫০ জন। চারটি এম্বুল্যান্সের মাধ্যমে ২ হাজার ১০০ রোগীকে সেবা দিয়েছি। ৯৪৬ জনকে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করোনার পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহে সহায়তা করেছি। একলাখ পরিবারে পৌঁছানো হয়েছে খাদ্যসামগ্রী। ওষুধ সহায়তা দেওয়া হয়েছে ১১ হাজার রোগীকে।

সোমবার (৮ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব ও করোনারোগী সেবা এবং কাফন দাফন সৎকার কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার।

তিনি বলেন, করোনা রোগী শনাক্ত হবার আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম আমরা। আমাদের দেখে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাতবতার সেবায় এগিয়ে এসেছে। আমাদের সুদক্ষ কর্মীরা যেকোনো জাতীয় দুর্যোগে ভূমিকা রাখতে পারবেন, তা হোক বন্যা, পাহাড় ধস, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস। রাষ্ট্রীয় সম্মান, স্বীকৃতি পেলে গাউসিয়া কমিটির কর্মীরা আরও উজ্জীবিত হবেন।

আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন বলেন, একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে, যা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ধনী গরিব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, মহাসচিব শাহজাদ ইবনে দিদার, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, আহসান হাবীব চৌধুরী হাসান, কমর উদ্দিন সবুর, এরশাদ খতিবী প্রমুখ।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ