৫ মার্চ সারাদেশ থেকে মুক্তিকামী জনতার উপর পাকিস্তানীদের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিবর্ষণের খবর আসতে থাকে। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছিল মুক্তিকামী জনতার উত্তাল আন্দোলন তত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছিল। ৭১-এর এইদিনে চট্টগ্রামে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন শতাধিক মুক্তিকামী জনতা। টঙ্গিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে ৬ জন, যশোরে একজন শহীদ হন।
মুক্তিকামী জনতা এই দিন অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙে ৩২৫ কয়েদি বের হয়ে চলে যান শহীদ মিনারে। তবে কারাগারের ফটক ভাঙার সময় কারারক্ষীদের নির্বিচার গুলিতে ৭ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হন। কয়েদিদের এ আন্দোলন সারা দেশের মুক্তিকামী জনতার আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দাবি অনুযায়ী এই দিনেই পাক সামরিক জান্তা রাজপথ ছেড়ে ব্যারাকে ফিরে যায়। একাত্তরের আজকের দিনে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের জাতীয় পরিষদের আধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণার প্রতিবাদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে ওঠে। সারা পূর্ব পাকিস্তান গগণবিদারী স্লোগান ওঠে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’।
পূর্বকোণ/এএ