চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রস্তুত চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ইমরান বিন ছবুর 

৫ মার্চ, ২০২১ | ১২:৩৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারের নির্ধারিত সময়ে পাঠদানের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে- শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ বা মাঠ পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি। অন্যদিকে, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো শতভাগ প্রস্তুতি শেষ করেনি সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতি কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে বলে জানান প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

গতকাল বেলা ১১টায় নগরীর জামালখান এলাকার ড. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন গাছের পাতা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কয়েকজন ঝাড়ুদার তা পরিষ্কার করছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহেদা আক্তার দাঁড়িয়ে থেকে তা তদারকি করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে তিনি প্রতিবেদককে বিভিন্ন ক্লাসরুম ঘুরিয়ে দেখান।

জানতে চাইলে ড. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহেদা আক্তার জানান, আমরা আরো আগে বিদ্যালয়কে ক্লাসের উপযোগী করেছি। ক্লাসরুম পরিষ্কার, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন, সবার জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, ওয়াশরুম পরিষ্কারসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিদিন গাছ থেকে পাতা ঝরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ভরে যায়, কর্মচারীরা এসে তা নিয়মিত পরিষ্কার করেন।

ক্লাস শুরুর অপেক্ষায় রয়েছেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যেহেতু আগামী ৩০ মার্চ থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। এছাড়া, আমাদের ক্লাসরুমগুলো ভালোভাবেই পরিষ্কার করা হয়েছে। তাই সরকারের নির্ধারিত সময়ে আমরা ক্লাস শুরু করতে আমাদের কোন সমস্যা নেই।

অন্যদিকে, একই চিত্র দেখা যায়, সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজে। কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি কক্ষ পরিষ্কার করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও, বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে ঝাড়ু দিতে দেখা যায় কয়েকজনকে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুজিবুল হক জানান, কলেজে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মতে, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হবে। অন্যদিকে, একাদশ শ্রেণির ক্লাস চলবে সপ্তাহে একদিন। কলেজে যেন খুব বেশি জড়ো না হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারে এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে, ৮০ দিনের মধ্যে সিলেবাস শেষ করে শিক্ষার্থীদের কিভাবে ভালো ফল করানো যায়, তার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের কমিটি কাজ করছে। আমরা আশা করছি বিগত বছরের ন্যায় আগামীতেও আমাদের শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম কলেজের ঐতিহ্য ধরে রাখবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে কওমি মাদ্রাসা খুললেও স্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও ‘ছুটি’ চলছে। অন্যদিকে, আগামী ৩০ মার্চ স্কুল ও কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট