চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

নিখোঁজের পাঁচদিন পর পূর্বকোণকর্মী সুমনের ভাসমান লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ মার্চ, ২০২১ | ৭:০১ অপরাহ্ণ

নিখোঁজের পাঁচদিন পর কর্ণফুলী নদী থেকে পূর্বকোণ-কর্মী সুমন দাশের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বুধবার (৩ মার্চ) রাত ১২টার পর কর্ণফুলী থানা ও নৌ পুলিশ চর পাথরঘাটার বাদামতল এলাকার কন্টিনেন্টাল জেটি সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে। লাশটি নন্দনকাননের বাসিন্দা সুমন দাশের বলে নিশ্চিত করেছে উপস্থিত স্বজন ও নৌ পুলিশ।

সুমন দাশ দৈনিক পূর্বকোণের টেলিফোন অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানায় তার পরিবার। এ ঘটনায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সুমন দাশের স্ত্রী প্রিয়াংকা দে কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

কোতোয়ালী থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়- সুমন দাশ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় নন্দনকাননস্থ বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। তার পরনে বেগুনী রঙের শার্ট এবং ছাই রঙের প্যান্ট ছিল।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কর্ণফুলী নদীতে একটি অজ্ঞাতপরিচয় লাশ ভাসার সংবাদ পেয়ে সেখানে ছুটে যান সুমন দাশের স্বজনরা। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কর্ণফুলী থানা ও সদরঘাট নৌ পুলিশ সদস্যরাও। কন্টিনেন্টাল জেটি সংলগ্ন এলাকা থেকে সুমনের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

এ সম্পর্কে সদরঘাট নৌ পুলিশের ওসি এবিএন মিজানুর রহমান বলেন, কর্ণফুলী নদীতে একটি অজ্ঞাতপরিচয় লাশ ভাসার সংবাদ পেয়ে নৌ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়। উদ্ধার হওয়া লাশটি সুমন দাশের। প্যান্টের পকেট থেকে সুমন দাশের আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সুমন দাশের সাত বছর বয়সী একটি পুত্র এবং পাঁচ মাস বয়সী একটি কন্যা রয়েছে বলে জানা যায়।

সুমন দাশের সম্বন্ধী শাওন নন্দী রাজু বলেন, ‘সন্ধ্যার পর কর্ণফুলী নদীতে অজ্ঞাতপরিচয় লাশ ভাসার সংবাদ পেয়ে আমরা এখানে ছুটে আসি। নৌ পুলিশের দীর্ঘ চেষ্টার পর রাত ১২টার পর লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় নৌ পুলিশ।’ সুমন দাশের মৃত্যুতে দি পূর্বকোণ লিমিটেডের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরীসহ পূর্বকোণ পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট