চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

প্রক্সি পরীক্ষার্থী আটক এক বছরের জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জুন, ২০১৯ | ২:১৯ পূর্বাহ্ণ

নগরীতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়েছে মো. ফরিদ উদ্দিন সোবহান (২৮) নামের এক শিক্ষার্থী। গতকাল (শুক্রবার) নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। সে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালীর মাস্টার ইব্রাহিমের পুত্র এবং কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বাঁশখালী উপজেলার মো. তারিফুল ইসলামের পক্ষে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে আসে ফরিদ। আটক ফরিদ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এক বছরের কারাদ- দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার মো. তারিফুল ইসলামের পক্ষে পরীক্ষা দিতে আসে ফরিদ। তারিফুলের ছবির সাথে তার ছবির খানেকটা মিল থাকায় বাকিগুলো বিশেষ কায়দায় তার মত করে নেয়। যার কারণে প্রাথমিকভাবে তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে গ্রামের নাম, জন্ম তারিখ, এসএসসি কত সাল জিজ্ঞেস করা হলে সে আটকে যায়। একপর্যায়ে ফরিদ স্বীকার করে সে আবুল কালাম আজাদ এবং মামুন নামে দুই ব্যক্তির প্ররোচনায় পরীক্ষা দিতে আসে।
জেলা প্রশাসন সূত্র আরো জানায়, প্রাথমিক অবস্থায় সে নিজের পরিচয় গোপন রাখে। একপর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাকে তল্লাশি করা হলে তার মানিব্যাগ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। এরপর সে সব স্বীকার করে। ফরিদের সঙ্গে প্রক্সির বিশাল একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। ওই সিন্ডিকেটের সদস্য মো. মামুন এবং আবুল কালাম। তাদের মাধ্যমে এ ফরিদ প্রক্সি পরীক্ষা দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়। আবুল কালাম মূলত এই চক্রের প্রধান। সে সরকারের শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগে প্রক্সি দেওয়ার চুক্তি করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য চুক্তি করে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়সার খসরু জানান, প্রাথমিক অবস্থায় তাকে শনাক্ত করা যাচ্ছিলো না। পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে সে উত্তর দিতে পারছিল না এবং একপর্যায়ে সে প্রক্সির কথা স্বীকার করে। তাকে পাবলিক পরীক্ষা সমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ৩ (খ) ধারা অনুযায়ী এক বছরের কারাদ- প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট