চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সরকারের ব্যয়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি সুজনের

২২ জুন, ২০১৯ | ২:০০ পূর্বাহ্ণ

সরকারের ব্যয়ে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা আরও বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের নেতারা। জনগণের টাকা কোথায় এবং কেন ব্যয় হচ্ছে তার সব বিস্তারিত জনগণের জানার অধিকার রয়েছে বলেও মনে করেন তারা। একইসঙ্গে প্রদত্ত করের বিপরীতে কাক্সিক্ষত সেবা সরকার দিতে পারছে কি না সেই প্রশ্নও নাগরিকদের তোলা উচিত বলে জানান আলোচকরা। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘বাজেট ২০১৯-২০ ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিশিষ্টজনেরা।-বাংলা নিউজ
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান, সুজনের নির্বাহী কমিটির সদস্য জাকির হোসেন, সাবেক সচিব ও গবেষক আব্দুল লতিফ মন্ডল, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ, সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আনু আহমেদসহ অন্যরা।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বিশেষ গোষ্ঠীকে তুষ্ট করার বাজেট উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার জনগণকে তোয়াক্কা করেনা, বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। যে কারণে পুলিশ এবং সরকারি আমলাদের ওপর ভর করে তারা ক্ষমতায় আছে। আমাদের নাগরিকদের অর্থ সেই তাদের পেছনে ব্যয় হয়। এ বাজেট বিশেষ বিশেষ গোষ্ঠীকে তুষ্ট করার বাজেট। সরকারের ব্যয়ের মাধ্যমে আমাদের জনগণের টাকা কোথায় ব্যয় হচ্ছে তার পূর্ণ জবাবদিহিতা থাকা দরকার। প্রয়োজনে সরকারি ব্যয় হিসাব-নিকাশ সংসদে উত্থাপনের মাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত।
অধ্যাপক ড. আনু আহমেদ অর্থবছরের সময়সীমা জুলাই-জুনের বদলে জানুয়ারি-ডিসেম্বর বা এপ্রিল-মার্চ করার দাবি জানান। তিনি বলেন, আমরা অনেক দিন থেকে সরকারকে বলছি অর্থবছরের সময়সীমা জুলাই-জুনের পরিবর্তে জানুয়ারি-ডিসেম্বর অথবা বাংলা ক্যালেন্ডারের সঙ্গে মিলিয়ে এপ্রিল-মার্চ করার জন্য। কিন্তু সরকার তা করছে না। পাকিস্তান এবং কয়েকটি দেশ ছাড়া কোনো দেশে অর্থবছরের জুলাই-জুনে নেই। জুন মাসে আবহাওয়ার যে বিরূপ থাকে তার উসিলায় অনেক অর্থ এদিক- সেদিক করার সুযোগ থাকে, দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়। যে কারণে এ সরকার অর্থবছর পরিবর্তন করছে না।
সরকারের ব্যয়ের ধরনের সমালোচনা করে এ শিক্ষাবিদ বলেন, বড় অঙ্কের প্রকল্পের সরকারের অনেক আগ্রহ কিন্তু অপেক্ষাকৃত কম অংকের প্রকল্পের সরকারের আগ্রহ নেই। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে সরকার ব্যয়বহুল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ব্যয়বহুল সেতুভবন সড়ক নির্মাণের বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বিশ্বের রেকর্ড করেছে। অথচ এ টাকাগুলো জনগণ নিজেদের পকেট থেকে দেয়। তার বিনিময় সরকার এবং সরকারি আমলারা কতটুকু সেবা দিচ্ছে সেই সার্ভিস রেশিও নিয়ে জনগণের প্রশ্ন তোলা উচিত। আলোচনা সভায় মূলপ্রবন্ধ তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অন্বেষণ বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। এর আগে ড. বদিউল আলম মজুমদারের জীবন, কর্ম ও চিন্তা নিয়ে লেখক নেসার আমিনের লেখা বই ‘একান্ত আলাপচারিতায় ড. বদিউল আলম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট