চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্মরণ সভায় সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী

চট্টগ্রামের উন্নয়নে ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদের ভূমিকা অনস্বীকার্য

২২ জুন, ২০১৯ | ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের বহুমাত্রিক উন্নয়নে রাজনীতিক ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ চৌধুরীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি এ দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। বিশেষ ভূমিকা রাখেন চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষকেই তিনি সমান চোখে দেখতেন, এটিই তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।’
সাবেক মন্ত্রী ও ডেপুটি স্পিকার, বিশিষ্ট রাজনীতিক ব্যারিস্টার সুলতান আহমদ চৌধুরীর ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ব্যারিস্টার সুলতান আহমদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মু. সিকান্দার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও কুতুব শরীফ দরবারের উপদেষ্টা শাহজাদা আল্লামা এম এম মুনিরুল মান্নান আল মাদানী। বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির মহাসচিব এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মাহফুজুল হক চৌধুরী, কাউন্সিলর আবুল হাসেম ও জেসমিনা খানম, অধ্যক্ষ কাজী আনোয়ারুল ইসলাম খান প্রমুখ। সভায় কোরআন তেলাওয়াত করেন সুলতান সাঈদ হাসান এবং ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ চৌধুরীর জীবনালেখ্য পাঠ করেন এডভোকেট মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম তালুকদার। সভায় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন হাব চট্টগ্রাম শাখার চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম ও মাহমুদুল হক পেয়ারু, সৈয়দ গোলাম সারোয়ার, এস.এস. আফাজ চৌধুরী, হাসান চৌধুরী, ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ চৌধুরীর নাতি ফাতেমা ফারহিন নিশা চৌধুরী ও প্রকৌশলী ইশতিয়াক উর রহমান, খোরশেদ আলম চৌধুরী, প্রকৌশলী মাহমুদুল ইসলাম, ওআর নিজাম আবাসিক এলাকা জামে মসজিদের খতিব মুহাম্মদ ছলীমুল্লাহ হাবিবী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সিকান্দর খান বলেন, ‘রাজনীতির একাল-সেকাল চিন্তা করলে ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ চৌধুরীদের মত রাজনীতিক এখন বিরল। তারা কখনো নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য রাজনীতি করেননি। সর্বদা জনগণের কল্যাণের কথাই চিন্তা করতেন। তারা মানুষের জন্য কাজ করতেন বলেই আজ দীর্ঘ ২৬ বছর পরও আমরা এখন তাদের স্মরণ করছি। এখানেই তাদের সাফল্য।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট