চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ধূসরের মাঝে এক খ- সবুজ আঙিনা

১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জুন, ২০১৯ | ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

চারদিকে যখন সবুজের জন্য হাহাকার ঠিক তখনই নদী-সমুদ্র ও পাহাড়ের অন্যতম মিলনস্থল চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় গড়ে ওঠেছে নাহার এগ্রোর অপরূপ সবুজের আবাহনে ঘেরা তাদের প্রধান কার্যালয়। ইট সিমেন্টের দালানকেও সবুজ এবং পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা যায় তার দেখা মেলে নগরীর ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের খুলশী এলাকায় এই প্রতিষ্ঠানের অফিসে গেলে। সবুজায়নের চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই অফিস ভবন। এর পেছনে কাজ করেছে সবুজের প্রতি ভালোবাসা এবং পরিবেশের প্রতি অকৃত্রিম মায়া। নাহার এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রকিবুর রহমান (টুটুল) এবং তার ছোট ভাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুদ্দোহার পরিবেশবান্ধব চিন্তা এবং কর্মক্ষেত্রে গাছের বৈজ্ঞানিক প্রভাব হতেই এই ধরনের ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা। ভবনের চারপাশে আইভি লতার গাছ দ্বারা বেষ্টিত করে ভবনের ছাদে গড়ে তোলা হয়েছে নান্দনিক বাগান। ছাদ বাগানে রয়েছে এরিকা পাম, এলমন্ডা, বাগান বিলাস, রোজ ক্যাকটার্স, নয়ন তারা, আইভি লতা, সন্ধ্যামালতি, টরেনিয়া, পুর্তলিকা, টাইম ফুল, বিভিন্ন প্রজাতির লিলি, রুয়েলিয়া, সিলবার স্টার, চায়না স্টার, মোসান্ডা, কাঠ গোলাপ, ওয়াটার লিফ, তুলসি পাতা, ঘাসসহ আরও অনেক ধরনের গাছপালা। ভবনটি নকশা করার সময় এর চারপাশে পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবাহের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। সবুজকে প্রাধান্য দিয়ে নির্মিত এই ভবনের সুফলও পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। প্রচ- তাপদাহেও এই অফিস অনেকখানি শীতল থাকে। ভবনটির জানালা গুলোর মাঝেও রয়েছে ঐতিহ্যের ছোঁয়া। ছোট ছোট কাঠের জানালা গুলোর চারপাশকে করেছে নয়নাভিরাম। এর ভেতরের পরিবেশ বাইরের পরিবেশের মতই আনন্দদায়ক ও নান্দনিক। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের মাধ্যমে প্রতিটি তলাকে গড়ে তোলা হয়েছে পরিপাটি এবং সাজানো গুছানো। ঐতিহ্য রক্ষার সাথে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারণার মিশেলে নির্মিত এই ভবনের আধুনিকতাকে উপস্থাপন করা হয়েছে পরিবেশ বান্ধবভাবে।
নাহার এগ্রোর এই অফিসটি হল সবুজের চত্বর। সবুজ গাছ মানুষের মনকে করে তোলে অমায়িক, সতেজ, প্রফুল্ল এবং প্রাণচঞ্চল। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারিদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, এই ধরনের পরিবেশে কাজ করে তারা মানসিক প্রশান্তি পাচ্ছেন। অন্যদের চাইতে উৎফুল্ল ও সজীব থাকছেন। তারা বলেন, এই সবুজের অনিন্দ্য সুন্দর উপহারের পেছনে রয়েছে নাহার এগ্রোর মালিক পক্ষের সবুজায়নের প্রতি অকৃতিম উৎসাহ এবং উদ্দীপনা। রকিবুর রহমান তার প্রধান কার্যালয়ের এই সবুজ অবয়ব প্রদান করে দেখিয়েছেন যে তাদের দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে সবুজের প্রভাব কতটা উপকারী। ‘গ্রিন এনভারমেন্ট’ এর ধারণাকে শুধু কথা ও কাগজে না রেখে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। তিনি এবং তার পরিবারের সার্বক্ষণিক পরিবেশ সচেতনতা চারপাশের মানুষকে করেছে অভিভূত। বেগম সামসুন নাহার সবসময় তাঁর পরিবারের সদস্যদের পরিবেশকে সাথে নিয়ে সামনে চলার শিক্ষা দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ফরিদা আক্তার সবসময় নিজেদেরকে এই সবুজের মাঝে কিভাবে আরও সুন্দর ও নান্দনিকভাবে গড়ে তোলা যায় তার খেয়াল রাখেন।
একটি কর্মব্যস্ত ভবন কিন্তু তার চতুর্পাশে সবুজের ঘনঘটা, যা আজকের ইট-কাঠের শহরের জন্য একটি অন্যতম উদাহরণ। এই ভবন ধূসরতার মাঝে প্রাণসঞ্চার করে বলে যায় গাছপালার মাঝে রয়েছে সুন্দর মানসিকতার ছান্দনিক চাবিকাঠি। পাশের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় সবাই একটু থামে। এক পলক সবুজ ভবনটির দিকে তাকায়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট