চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরণার্থী দিবস

যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, উখিয়া

২২ জুন, ২০১৯ | ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়েছে বিশ্ব শরণার্থী দিবস। অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতারা জানান, তাদের মৌলিক দাবি আদায়পূর্বক তারা মিয়ানমারে ফিরতে আগ্রহী।
শরণার্থী দিবসে কুতুপালং ক্যাম্পের ডি ৫ ব্লকে ইউএনএইচসির-এর থাই এনজিওর অফিস কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারসহ ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল ২ শতাধিক রোহিঙ্গার সাথে কথা বলেন এবং ডি ৪ ব্লকে পায়ে হেঁটে র‌্যালিতে অংশ নেন। তিনি উখিয়ার কুতুপালংয়ের বেশ কয়েকটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং এনজিওর কার্যক্রমও দেখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম, ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম, পাবেল হায়দার, ওবাইদুল্লাহসহ এনজিও প্রতিনিধিরা। তারা রোহিঙ্গাদের হাতে প্রদর্শিত প্লে-কার্ড, ব্যানারে লিখিত দাবিসমূহ পড়ে নিরাপদ প্রত্যাবাসনে আশ্বস্ত করেন তাদের।
বাংলাদেশে বর্তমানে অবস্থান করছে ১১ লাখের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হলেও কারণে-অকারণে মিয়ানমার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করছে না। যে কারণে দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে আছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে স্থানীয় জনসাধারণ। ১৯৭৮ সালে প্রথম বাংলাদেশে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করলেও, পরে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তারা নিজ দেশে ফেরত যান। এর পরে ১৯৯১-এর পর থেকে বড় আকারে তিন দফায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। গত বছরের আগস্টের পরে খুবই স্বল্প সময়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় প্রার্থী। এই দফায় রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢলকে ইউএনএইচসিআর গত এক দশকের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থীর ঢল হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট