চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বন্দরে অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে না সাড়ে ৬ একর ভূমি

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১২:৫৪ অপরাহ্ণ

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এলাইনমেন্টের পরিবর্তন না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় চার একর জমি এবং সাধারণ জনগণের প্রায় আড়াই একর জমি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে না। এতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। নগরীর লালখান বাজার থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের (বারিক বিল্ডিং থেকে বন্দর পর্যন্ত অংশ) এলাইনমেন্ট চূড়ান্তকরণের ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর বোর্ড রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া, অন্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- বারিক বিল্ডিং থেকে সল্টগোলা পর্যন্ত অনুমোদিত ডিপিপিতে প্রেরিত নকশা অনুযায়ী মূল রাস্তার মধ্যখানে পিলার স্থাপনের মাধ্যমে ফ্লাইওভার নির্মাণের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। নির্মাণকাজ চলাকালীন সময়ে রাস্তার দুদিকে দুই লেইন করে মোট চার লেইন ফ্রি রেখে নির্মাণ কাজ করতে হবে, যাতে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত না হয়। ফ্লাইওভারের যে পাশে কেপিআই এলাকা থাকবে সেই পাশে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে শব্দ নিরোধক উঁচু ফেন্সিং তৈরি করতে হবে। নির্মাণকালীন সময়ে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর এবং বাংলাদেশ পুলিশ এর ট্রাফিক বিভাগের সাথে সমন্বয় করতে হবে। বন্দরের বিদ্যমান গেটসমূহে চলাচলকারী ট্রাক/লরি প্রয়োজনে সিপিএআর গেইটে সাময়িক শিফট করা হবে। বন্দরের বিদ্যামান গেইটসমূহের সম্মুখে যাতে কোনো পিলার স্থাপিত না হয় সেজন্য প্রয়োজনে স্প্যানের দূরত্ব সমন্বয় করতে হবে।

সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, ফ্লাইওভারের এলাইনমেন্টের ব্যাপারে উপরোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় চার একর জমি এবং সাধারণ জনগণের প্রায় আড়াই একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না এবং সাধারণ জনগণের স্থাপনা বাবদ কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না। এতে চউক এর প্রায় ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

জানতে চাইলে সিডিএ’র প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, বন্দর এরিয়ার মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হচ্ছে তিন কিলোমিটার। এরমধ্যে সল্টগোলা ক্রসিং থেকে কাস্টম পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলাকায় বন্দরের পোর্ট কলোনির সামনে ফ্লাইওভার নির্মাণ হবে। অন্যদিকে, কাস্টম থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত রাস্তার মাঝের অংশে দুই কিলোমিটার এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। অর্থাৎ ডিপিপিতে যেভাবে ছিল, সেভাবেই ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হক, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান।

সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সকল সদস্য, সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় প্রধান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ম্যাক্স-রেনকিং জেভি এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট