চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভাঙনরোধে পাউবোর ২শ কোটি টাকার প্রকল্প

মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন 

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১২:০৮ অপরাহ্ণ

কর্ণফুলী নদীর ভাঙনরোধে দুইশ কোটি টাকার প্রকল্প নিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কর্ণফুলী নদী ছাড়াও বোয়ালখালী, রায়খালী ও ছন্দারিয়া খালের ভাঙনরোধে এই প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, প্রকল্পের যাচাই-বাছাই করার জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে। সদস্যসচিব করা হয়েছে রাঙামাটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে। সদস্যরা হলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) মো. সানাউল কাদের খান, রিভিউ প্রসেসিং এন্ড পিডি শাখার উপ-প্রধান (অর্থনীতি) গোলাম ফারুক, গবেষণা কর্মকর্তা মো. সাফাত হোসেন, আইডব্লিউএম, সিইজিআইএস’র প্রতিনিধি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর-২) নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তাঁর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী প্রকল্পের ডিপিপি প্রস্তুত করা হচ্ছে’।

পাউবো জানায়, টেকনিক্যাল কমিটি বোয়ালখালীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেবেন। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে দুইশ কোটি টাকার প্রস্তাবনা প্রস্তুত করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের এপ্রিলে কর্ণফুলী নদীর ভাঙনরোধে ৩৫১ কোটি টাকার প্রকল্প জমা দিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে প্রকল্প এগোয়নি। ফাইল চাপা পড়েছে। তবে সেই প্রকল্পটিতে বোয়ালখালী ছাড়াও রাউজান, রাঙ্গুনীয়া অংশও ছিল। সেই প্রকল্পটি কাটছাঁট করে নতুনভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগের প্রকল্প থেকে রাউজান ও রাঙ্গুনীয়া অংশ বাদ দিয়ে শুধু বোয়ালখালী অংশকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আরও অনেক কিছুই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন, রাঙ্গুনীয়া অংশে কর্ণফুলীর ভাঙনরোধে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। আরও একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। একইভাবে রাউজান অংশেও ভাঙনরোধে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তাই আগের প্রকল্প থেকে রাঙ্গুনীয়া ও রাউজানের অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদের অনুরোধে কর্ণফুলী নদী ও বিভিন্ন খালের ভাঙনরোধে প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, বোয়ালখালীতে কর্ণফুলী নদী ও খালের ভাঙন দীর্ঘদিনের। ভাঙনে অনেক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, বাজারসহ নানা স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বোয়ালখালী পরিদর্শন করে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ভাঙনরোধের আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর দিক নির্দেশনায় ভাঙনরোধে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।

পাউবো জানায়, কর্ণফুলী নদীর বোয়ালখালী অংশের চরণদ্বীপ ঘাটিয়ালপাড়া সংলগ্ন এলাকা, বোয়ালখালী খালের ননাইয়ারমারঘাট, দুমুখো খাল, ছন্দরিয়া খালের বিনয় বাঁশী জলদাসের বাড়ির এলাকাসহ ৭টি পয়েন্টে নদী ও খালের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে বিলীন হয়েছে মানুষের ঘরবাড়ি, জমি। নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার। বোয়ালখালীর বিভিন্ন অংশে ৭ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

নদী ভাঙন ভোটের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে রাজনৈতিক নেতারা। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ভাঙনরোধ বেমালুম ভুলে যান বিজয়ীরা।
২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে বোয়ালখালী ও রাউজান অংশে নদী সংলগ্ন খালের ভাঙনরোধে ৭২ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। সেই প্রকল্পটির পর বড় কোন প্রকল্প আর দেখা যায়নি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট