চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বেঁধে দেয়া মূল্যে ভোজ্যতেল বিক্রি নিশ্চিতে নজরদারির দাবি ক্যাবের

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১১:২১ অপরাহ্ণ

সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত মূল্যে ভোজ্যতেল বিক্রি নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

বেশ কয়েকমাস ধরে অস্থির ভোজ্যতেলের অস্থিরতা ঠেকাতে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন-সংক্রান্ত সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় কমিটি। অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য নির্ধারণ সরকারের শীর্ষ মহলের আন্তরিকতার বর্হিপ্রকাশ। কিন্তু নির্ধারিত মূল্য কার্যকরে মাঠ পর্যায়ে যথাযথ নজরদারিতে আন্তরিকতার ঘাটতি হলে এ উদ্যোগের সফলতা নিয়ে সংশয় থেকে যায়। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে একপেশে ও গুটিকয়েক ব্যবসায়ী স্বার্থ সংরক্ষণে করা হয়েছে বলে মত প্রকাশ করে নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেলের বিক্রয় নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ক্যাব।

শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান উপরোক্ত দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয় সরকার নির্ধারিত প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল মিলগেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াাবিন তেল মিলগেটে ১২৩ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১২৭ টাকা এবং খুচরা বিক্রয় মূল্য ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেটে ৫৯০ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৬১০ টাকা এবং খুচরা বিক্রয় মূল্য ৬৩০ টাকা করা হয়েছে। যা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা আর্ন্তজাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দেশীয় ট্যারিফ কমিশনের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বর্ধিত মূল্যকে প্রকারান্তরে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান বলে মতপ্রকাশ করেন। ভোজ্যতেল একটি আমদানিকৃত পণ্য। ট্যারিফ কমিশনের অনুমতি ব্যতিরেকে মূল্য বাড়ানো যায় না। আর যেহেতু মোড়কে বিক্রি হয়। সে কারণে মোড়কের গায়ের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রিতে নিষেধ। তারপরও ব্যবসায়ীরা বাড়তি মূল্যে বিক্রি করছে। সরকারের তদারকি সংস্থাগুলি নিরব দর্শক ছিলেন। তাই এই দাম বেঁধে দেবার কারণে ভোক্তা পর্যায়ে কোন সুফল আসবে না বলে মত প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সফল নেতৃত্বে দেশ করোনা মোকাবেলায় অনেকটা সফল। এছাড়াও অনেকগুলি সুচকে অনেক অগ্রগতি লাভ করলেও গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সরকারের পুরো অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। আবার ব্যবসায়ীরা তাদের অপকর্ম ঢাকতে সরকারি দলে নাম লেখাতেও প্রতিযোগিতায় মেনেছে। ফলে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন সরকার দলীয় অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। যা দেশে ন্যায্য ব্যবসার প্রসারে বড় বাধা।

 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী মাসে পাম ও সয়াাবিন তেল উৎপাদনের মৌসুম। ফলে আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম কমতে পারে। আসন্ন পবিত্র রমজানে ভোজ্যতেল নিয়ে যেন কৃত্রিম সংকট তৈরি না করে, সেজন্য এখন থেকে আমদানি, বিতরণ ও ভোক্তা পর্যায়ে বিপণনে কঠোর তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও পেঁয়াজের মতো কৃষকদের প্রণোদনা নিয়ে সরিষার উৎপাদন বাড়িয়ে সরিষার তেল উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবহার বাড়াতে উদ্ভুদ্ধকরণ করে বিকল্প বাজার তৈরির মত প্রকাশ করেন।

 

পূর্বকোণ/মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট