চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রধান প্রকৌশলীর কাছে প্রশ্ন সিটি মেয়রের

বারইপাড়া খাল খননের কাজ শুরু হলো না কেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

চসিক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯৯৫ সনের প্রণীত মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এখনো কেন বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে বলিরহাট হয়ে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খালটি খনন করা গেলোনা তা জানতে চাইলেন কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে।

তিনি গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে চসিক’র টাইগারপাসের অস্থায়ী অফিসে প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের সাথে বৈঠকে বসেন। এসময় মেয়র তাঁর ১০০ দিনের কর্ম পরিকল্পনার পাশাপাশি নতুন নগর ভবন নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা কি তাও জানতে চান। তিনি টাইগারপাস অফিসে পার্কিং না থাকা, মূল শহরের বাইরে কর্পোরেশনের অফিস হওয়ায় কর্মকর্তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে মতামত নেন।

সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক  প্রকৌশলী আনোয়ার  হোসেন, আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, কামরুল ইসলাম সহ নির্বাহী ও সহকারী -উপ সহকারী প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়রের প্রশ্নের জবাবে বারইপাড়া খাল খনন না হওয়ার বিষয়ে কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে। ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ খাতে ব্যয় প্রায় ১ হাজার ১ শত ১৯ কোটি টাকা। যা প্রকল্প ব্যয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ । প্রকল্পটির জিওবি বরাদ্দ ৭৫ শতাংশ খাতের প্রায় ৯১৫ কোটি টাকা ইতোমধ্যে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যার ৯১১ কোটি টাকা জেলা প্রশাসন তহবিলে জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ খাতেই ২০৮ কোটি টাকা এবং ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ৯৭ কোটি টাকা অর্থাৎ ৩০৪ কোটি টাকা সিটি কর্পোরেশন তহবিল থেকে ব্যয় করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে কর্পোরেশনের আর্থিক এই ব্যয়ভার বহনের সক্ষমতা নেই।

এই খালের মোট প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি ৬১৫ লক্ষ টাকা। জিওবি ৭৫ শতাংশ  ও চসিকের তহবিল হলো ২৫ শতাংশ মিলিয়ে টাকার অংকে যা দাঁড়ায় ৩১৪ কোটি ৩ লাখ টাকা। এর বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত। অথচ এই প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু করা যায়নি।

সভায় নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এতো বড় প্রকল্পের জন্য মোট ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা লাগবে। কিন্তু আইনে একসাথে এই পরিমাণ জমি অধিগ্রহণের টাকা ছাড়ের কোন বিধান নেই। তাই জেলা প্রশাসন ৫ ভাগে ভাগ করেছে অধিগ্রহণের বিষয়টা। এছাড়া এলএ শাখায় মামলাও আছে। তিনি বলেন, কাজ শুরু করতে ম্যাচিং ফান্ডের টাকাও দেয়া যাবে না। তাই এই খাল খননে রিভাইস প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও বর্তমানে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি টিম সম্প্রতি প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।

মেয়র রেজাউল আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একসময় সুনাম ছিল। এখন দুর্নাম বেশি। এই দুর্নাম ঘুচাতে হবে।-বিজ্ঞপ্তি

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট