চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

রেলওয়ের উদ্যোগ রেল স্টেশনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ জুন, ২০১৯ | ২:৩০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এতদিন সংকোচ নিয়ে শিশুদের যত্রতত্র দুধ পান করাতেন মায়েরা। তবে এখন থেকে এ ব্যস্ত স্টেশনে নবজাতককে দুধ পান করাতে গিয়ে আর ইতস্তত বোধ করতে হবে না। কেননা মায়েদের সুবিধার্থে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে দুইটি ‘মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান’ তৈরি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। নির্মাণ শেষে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ‘মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান’ দুটি যাত্রীদের

জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি স্টেশনে মায়েদের সুবিধার্থে এ ‘মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান’ তৈরি করা হবে বলেও জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের এ উদ্যোগকে স্বাগত ও প্রশংসা জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
গতকাল চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত বিশ্রামাগার কক্ষ দুটিতে এলুমিনিয়াম ও গ্লাস দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ২টি ‘মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান’। যার প্রতিটিতে মায়েদের বসার জন্য রাখা হয়েছে চারটি করে আসন। এছাড়া মাতৃদুগ্ধ পান করাতে গিয়ে মায়েরা যেন গরমে কষ্ট না পান সেজন্য রাখা হয়েছে বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা। যেখানে নবজাতকদের দুধ পান করাতে দেখা যায় মায়েদের।
স্টেশনের দ্বিতীয় তলার বিশ্রামাগারে কথা হয় মাকসুদা আক্তার নামে এক মায়ের সাথে। তিনি মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান সম্পর্কে প্রতিবেদককে বলেন, স্টেশন সব সময় যাত্রীতে ভরপুর থাকে। এতো মানুষের সামনে মায়েরা বাচ্চাদের দুধ পান করাতে গিয়ে লজ্জাবোধ করে। অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চারা কান্না করলেও সবার সামনে দুধ পান করাতে ইতস্তত বোধ করি আমরা। তবে আজ ঢাকা যাওয়ার পথে বিশ্রামাগারে এসে মাতৃদুগ্ধ পানের জন্য একটি আলাদা কক্ষ দেখতে পাই। সেখানে গিয়ে আমি আমার মেয়েকে দুধ পান করিয়েছি। সত্যিই রেলওয়ের এ সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রতিটি স্টেশনে মায়েদের সুবিধার্থে এমন ‘মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান’ থাকা খুবই প্রয়োজন।
পর্যায়ক্রমে প্রতিটি স্টেশনে মায়েদের সুবিধার্থে এ ‘মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান’ তৈরি করা হবে বলেও জানায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. বোরহান উদ্দিন। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে দুটি ‘মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান’ তৈরি করা হয়েছে। বিশ্রামাগারের দুটির দুই কর্ণারে প্রায় ৩৬ বর্গফুট জায়গায় এলুমিনিয়াম ও গ্লাস দিয়ে নির্মাণ করা হয় ‘মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান’ দুটি। নির্মাণ শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয় কক্ষ দুটি। মায়েদের সুবিধার্থে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি স্টেশনে এ ‘মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান’ তৈরি করা হবে। প্রথম দিকে ফেনী, লাকসাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী স্টেশনে নির্মাণ করা হবে এ ‘মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান’ বলে জানান তিনি’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট