চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে ৭ ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পেল ১০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক 

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১২:৪৪ অপরাহ্ণ

সর্বোচ্চ কর দিয়ে ৭ ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পেল চট্টগ্রামের ১০ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান। গতকাল বৃহস্পতিবার আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকের পিএইচপি ভবনে ট্যাক্সেস ক্লাবে মনোনীতদের এ ট্যাক্স কার্ড তুলে দেয় আয়কর বিভাগ। একই সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম জেলা ও কক্সবাজার জেলাসহ তিন পার্বত্য অঞ্চলে সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে নির্বাচিত ৪০ জন ব্যক্তির হাতেও সম্মাননা তুলে দেয় আয়কর বিভাগ।  ৭ ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড গ্রহণ করা ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানগুলো হল, ব্যবসায়িক ক্যাটাগরিতে মোহাম্মদ কামাল, সিনিয়র সিটিজেন ক্যাটাগরিতে আলী হোসেন আকবর আলী, সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে মো. আবদুল মালেক, প্রতিবন্ধী ক্যাটাগরিতে সুকর্ণ ঘোষ, জ্বালানি ক্যাটাগরিতে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ও পদ্মা অয়েল কোম্পানি, তৈরি পোশাক ক্যাটাগরিতে ইয়াং ওয়ান লিমিটেড ও ইউনিভার্সাল জিন্স লিমিটেড, ফার্ম ক্যাটাগরিতে মেসার্স এসএন করপোরেশন ও মেসার্স সাহারা এন্টারপ্রাইজ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম জেলা ও কক্সবাজার জেলাসহ তিন পার্বত্য অঞ্চলে সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে সম্মাননা গ্রহণ করেন ৪০ জন। এর হলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অঞ্চলে দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী মির্জা সালমান ইস্পাহানী (কর অঞ্চল-৩) ও ড. শাফায়াত হোসেন খান (করঅঞ্চল-৩)। সর্বোচ্চ করদাতা আবু মোহাম্মদ (কর অঞ্চল-২) ও আলী হোসেন আকবর আলী (কর অঞ্চল-১)। সর্বোচ্চ তরুণ করদাতা সৈয়দ মো. ফজলুল করিম (কর অঞ্চল-২) ও সর্বোচ্চ মহিলা করদাতা মোছা. ফারহানা বেগম (কর অঞ্চল-৩)।

সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত চট্টগ্রাম জেলা অঞ্চলে দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারি নবী হোসেন চৌধুরী (কর অঞ্চল-১) ও আলী হোসাইন (কর অঞ্চল-২)। সর্বোচ্চ করদাতা ইঞ্জিনিয়ার মো. মহসিন (কর অঞ্চল-১), আবুল হাশেম (কর অঞ্চল-১) ও মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী (কর অঞ্চল-৩)। সর্বোচ্চ তরুণ করদাতা রবিউল হাসান খোকন (কর অঞ্চল-১) ও সর্বোচ্চ মহিলা করদাতা মিজ. জান্নাতুল মাওয়া (কর অঞ্চল-৩)।

কক্সবাজার জেলায় দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী কাজল পাল (কর অঞ্চল-৪) ও হায়দার আলী (কর অঞ্চল-৪)। সর্বোচ্চ কর দাতা মোহাম্মদ আব কাউসার (কর অঞ্চল-৪), মো. আলমগীর (কর অঞ্চল-৪) ও মোহাম্মদ সেলিম (কর অঞ্চল-৪)। সর্বোচ্চ তরুণ করদাতা জিয়া উদ্দিন হায়দার (কর অঞ্চল-৪) ও সর্বোচ্চ মহিলা করদাতা মিজ. সার্জিনা আক্তার (কর অঞ্চল-৪)।

বান্দরবান জেলায় দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী মো. সামশু উদ্দিন সওদাগর (কর অঞ্চল-২)। সর্বোচ্চ করদাতা মো. নুরুল আবছার (কর অঞ্চল-২), মো. সামশু উদ্দিন সওদাগর (কর অঞ্চল-২) ও মো. আলী (কর অঞ্চল-২)। সর্বোচ্চ তরুণ করদাতা ফরহাদ হোসেন (কর অঞ্চল-২) ও সর্বোচ্চ মহিলা করদাতা মিজ. মে হ্লা প্রু (কর অঞ্চল-২)।

রাঙামাটি জেলায় দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী মো. বদিউল আলম (কর অঞ্চল-৩) ও মো. বাদশা মিয়া (কর অঞ্চল-৩)। সর্বোচ্চ করদাতা লোকমান হোসেন তালুকদার (কর অঞ্চল-৩), মো. রফিকুল আলম লিটন (কর অঞ্চল-৩) ও মো. খলিলুর রহমান (কর অঞ্চল-৩)। সর্বোচ্চ তরুণ করদাতা মো. সাখাওয়াত হোসেন (কর অঞ্চল-৩) ও সর্বোচ্চ মহিলা করদাতা মিজ. চিত্রা চাকমা (কর অঞ্চল-৩)।

খাগড়াছড়ি জেলায় দীর্ঘ সময় করপ্রদানকারী বিজয় কান্তি বড়ুয়া (কর অঞ্চল-৩) ও সজল দে (কর অঞ্চল-৩)। সর্বোচ্চ করদাতা মোসাম্মদ ফরিদা আক্তার (কর অঞ্চল-৩), কাজী মো. নুর আলম (কর অঞ্চল-৩) ও স্বপন চন্দ্র দেবনাথ (কর অঞ্চল-৩)। সর্বোচ্চ তরুণ করদাতা নুর মোহাম্মদ (কর অঞ্চল-৩) ও সর্বোচ্চ মহিলা করদাতা মিজ. ঝুলনা সাহা (কর অঞ্চল-৩)।

কর কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আপিল কমিশনার হেলাল উদ্দিন সিকদার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কর কমিশনার জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদ, ড. মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, মো. রিয়াজুল ইসলাম, কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি এনায়েত হোসেন প্রমুখ।

কাস্টমস ও ভ্যাট আপিল কমিশনার ড. গোলাম মো. মুনির বলেন, করোনা সঞ্চয় প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। বিনিয়োগ বাড়লে আয় বাড়বে, ভোগও বাড়বে। তাহলে কর আদায় বাড়বে। আমাদের প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পে তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। এখন অনেক কারখানায় রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে করদাতাদের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন, ট্রাক্স কার্ড প্রাপ্ত আলী হোসেন আকবের আলী, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অঞ্চলে দীর্ঘ সময় কর প্রদান করে সম্মাননা গ্রহণ করা ড. শাফায়াত হোসেন খান।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট