চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১১ মার্চ ধর্মঘট পালিত হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক 

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১২:২৬ অপরাহ্ণ

১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য ১০ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১১ মার্চ ভোরে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্ররা বের হয়ে আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণাঙ্গ ধর্মঘট পালিত হয়।

সকালে ছাত্রদের একটি দল রমনা ডাকঘরে গেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ছাত্রদের আরও একটি দল রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সচিবালয়ের সামনে নবাব আবদুল গণি রোডে পিকেটিংয়ে অংশ নেয়। তারা গণপরিষদ ভবন (ভেঙে পড়া জগন্নাথ হলের মিলনায়তন), প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বর্ধমান হাউস (বর্তমান বাংলা একাডেমি), হাইকোর্ট ও সচিবালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে অফিস বর্জনের জন্যে সবাইকে চাপ দিতে থাকে। ফলে বিভিন্ন স্থানে তাদেরকে পুলিশের লাঠিচার্জের সম্মুখীন হতে হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা খাদ্যমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ আফজল ও শিক্ষামন্ত্রী আবদুল হামিদকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে।

এ বিক্ষোভ দমনের জন্য সরকার সেনাবাহিনী তলব করে। পূর্ব পাকিস্তানের জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং ব্রিগেডিয়ার আইয়ুুব খান (পরে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি) মেজর পীরজাদার অধীনে একদল পদাতিক সৈন্য নিয়োগ করেন এবং স্বয়ং গণপরিষদে গিয়ে খাজা নাজিমুদ্দিনকে বাবুর্চিখানার মধ্য দিয়ে বের করে আনেন। বিকালে এর প্রতিবাদে সভা অনুষ্ঠিত হলে পুলিশ সভা প- করে দেয় এবং কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ছিলেন শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান (জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু), অলি আহাদ, শওকত আলী, কাজী গোলাম মাহবুব, রওশন আলম, রফিকুল আলম, আব্দুল লতিফ তালুকদার, শাহ মো. নাসিরুদ্দীন, নুরুল ইসলাম প্রমুখ। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন নঈমুদ্দিন আহমদ।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট