চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

আউশে আগ্রহ নেই কৃষকদের

প্রতিমণ ১ হাজার ৪০ টাকায় সব ধান ক্রয় করছে না খাদ্য বিভাগ

মো. দেলোয়ার হোসেন , চন্দনাইশ

২০ জুন, ২০১৯ | ১:১৫ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশ

চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে আউশ উৎপাদনে আগ্রহ নেই কৃষকদের। মাঠের পর মাঠ ধানি জমি ফাঁকা পড়ে আছে। পরবর্তী আমন চাষাবাদেও এর প্রভাব পড়বে বলে কৃষকেরা মনে করছেন।
কৃষকদের অভিযোগ, চলতি আউশ মৌসুমে উপজেলার বিভিন্নএলাকায় আবাদকৃত বিস্তীর্ণ জমিরবিশালএকটি অংশ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বোরোধান উৎপাদনের পর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকেরা ক্ষোভে ধানের চারা রোপণ থেকে বিরত রয়েছেন। সার, বীজ, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরি, ধানকাটা, মাড়াই থেকে শুরুকরে বোরো ধান উৎপাদনে প্রতি বিঘায় সাড়ে ৭ হাজারটাকাখরচ হয়। এতে ধানেরমণ ৬শ থেকে সাড়ে ৬শ টাকাখরচ হয়। বর্তমানে বাজার মূল্যে সাড়ে ৪শ থেকে ৫শ টাকা বিক্রয় হচ্ছে। এভাবে ভর্তুকি দিয়ে ক্ষতি গুণতে হচ্ছে বলে কৃষকেরা ধান উৎপাদনে আগ্রহ হারাচ্ছে। সরকারিভাবে প্রতিমণধান ১ হাজার ৪০ টাকায় ক্রয় করলেও সব ধান খাদ্য বিভাগ ক্রয় করছেনা।
তাছাড়া ধানবিক্রয় করতে গেলে খাদ্য বিভাগের লোকজন বিভিন্ন রকম পদ্ধতির কথা বলে ধান ক্রয় করছেনা বলেও অভিযোগ কৃষকদের। ফলে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা লাভবান হচ্ছে। কৃষকেরা চাষাবাদ করতে আগ্রহহারাচ্ছেন।
কৃষকেরা বলেন, বিশেষ প্রয়োজনে যাদের খাবার দরকার তারা শুধুমাত্র খাবারের জন্য জমিতে চাষাবাদ করবেন। আগামী আমন মৌসুমে কৃষকদের মধ্যে এর প্রভাব পড়তে পারে।
এ ব্যাপারে কৃষিকর্মকর্তা স্মৃতিরানী সরকার বলেছেন, বোরোতে চন্দনাইশে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩ হাজার ৫শ হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫হেক্টর জমিতে চাষাবাদ বেশি হয়েছে। আউশে ২ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করাহয়েছে। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এবং পানি সেচের সু-ব্যবস্থা না থাকায় এখনো চাষাবাদ শুরুহয়নি। কিছুকিছু জমিতে ধানের বীজ বপন হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সময়মতো বৃষ্টির পানি পেলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট