চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ৬:২৪ অপরাহ্ণ

আজ ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘টেকসই উন্নয়ন-সমৃদ্ধ দেশ: নিরাপদ খাদ্যের বাংলাদেশ।’ ২০১৮ সাল থেকে প্রতি বছর দেশের সব জেলা ও উপজেলায় সরকারিভাবে এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বিষয়ে সর্বস্তরে জনসচেতনতা বৃদ্ধিই এ দিবসের প্রধান লক্ষ্য। ৪র্থ জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে খাদ্যে ভেজাল ও দূষণ রোধে মাঠ পর্যায়ে ‘খাদ্যের নিরাপদতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অনলাইনে আয়োজিত এ সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে।

 

এস এম নাজের হোসাইন

সহসভাপতি, ক্যাব

 

নজরদারি রাখতে হবে সারাবছর

নিরাপদ খাদ্য পাওয়া এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পেছনে বড় কারণ-নজরদারি কমে যাওয়া। আবার বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অভিযান হলেও জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে অপরাধ কমবে না। উল্টো জরিমানার টাকাটা তুলে নিতে দ্বিগুণভাবে ভেজাল ও বাসী খাবার বিক্রি করে যায়। এর কারণ- প্রতিষ্ঠানটি জানে, জরিমানা করা হলো মানে অন্তত আগামী এক মাস তাঁর দোকানের ধারে আসবে না কোনো সংস্থা।

তাই আমার মতে জরিমানা স্থায়ী সমাধান নয়। এ জন্য দুটি উদ্যোগ নিতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান বারবার অনিয়ম করছে সেগুলোর তালিকা করে ছড়িয়ে দিতে হবে। বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিতে হবে। আবার গ্রাহকদের সচেতনতাও জরুরি। তাঁরা যদি এসব প্রতিষ্ঠান বয়কট করা শুরু করেন তাহলে বদল আনতে বাধ্য হবেন। সরকারকেও উদ্যোগ নিতে হবে। পরিকল্পনা করে সারাবছর নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে।

 

নাজমুস সুলতানা সীমা

নিরাপদ খাদ্য অফিসার, চট্টগ্রাম

 

সচেতনতা সৃষ্টিই মূল উদ্দেশ্য, জরিমানা নয়

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান থেকে তৃণমূল অফিসের কর্মকর্তা-সবাই পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তবে রাতারাতি খুব বড় ধরনের পরিবর্তন হবে না। তাই কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। বিশেষ করে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জনসচেতনামূলক একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নেই। এর মধ্যে ছিল নগরী ও উপজেলাগুলোতে সেমিনার ও পোস্টারিং করা। ইতিমধ্যে আমরা চট্টগ্রামের ৮টি উপজেলায় সেমিনার শেষ করেছি। বাকিগুলোতেও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য নিয়ে জনসচেতনতায় ক্যারাভান রোড শোÑও করা হয়েছে একটি। এ ছাড়া জনসচেতনতামূলক নগরীতে ৯০০টি এবং উপজেলাগুলোতে দেড় হাজার পোস্টারিং করা হচ্ছে।

একটা কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন। জরিমানা করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। এটি সর্বশেষ ধাপ। আমাদের সর্বোচ্চ চাওয়াÑসবাইকে সচেতন করা। কারণ, সবাই যদি সচেনত হই তাহলে নিরাপদ খাদ্য এমনিতেই নিশ্চিত হয়ে যাবে।

হোটেল রেস্তোরাঁয় অনিরাপদ খাদ্যে উৎপাদন ও সরবরাহের কথা প্রায় সময় শোনা যায়। তাই আমাদের কার্যক্রমের সঙ্গে তাদেরও যুক্ত করতে চাই। এ জন্য ঝুঁকিপূর্ণ রেস্তোরাঁগুলোর তালিকা করেছি। এসব রেস্তোরাঁর মালিকদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট