চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জেএসসি-এসএসসিতে জিপিএ-৫ ­পেয়েও এবার পাননি ৫০ শিক্ষার্থী

এইচএসসি পরীক্ষার ফল: না পেয়েও পাওয়ার আনন্দ, পেয়ে হারানোর হতাশা

­জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ ­না পেয়েও এইচএসসিতে ­পেলেন ১২৯৯ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ জানুয়ারি, ২০২১ | ১০:০০ পূর্বাহ্ণ

করোনায় পরীক্ষা গ্রহণ ছাড়াই এবার ঘোষণা করা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। সারা দেশের ন্যায় জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর মূল্যায়ন করে ফল ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড।

সাবজেক্ট ম্যাপিং করে এইচএসসির ফল প্রস্তুত করায় জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেয়েও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১ হাজার ২৯৯ জন শিক্ষার্থী। সারাদেশে এ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৩ জন।

অন্যদিকে এই সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণেই জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েও এইচএসসিতে পাননি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ৫০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১০ জন নিয়মিত এবং ৪০ জন আংশিক বা অনিয়মিত শিক্ষার্থী (এসব শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ের পরীক্ষার্থী ছিলেন না)। সারাদেশে একই কারণে জিপিএ-৫ না পাওয়া এ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৯৬ জন।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ পূর্বকোণকে বলেন, সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছে। যখন ম্যাপিং করা হয়েছে, তখন জিপিএ-৫ এর জন্য যে নম্বর দরকার ছিল, তা তারা পাননি। জেএসসি পরীক্ষার ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি পরীক্ষার ৭৫ শতাংশ বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিবেচনা করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সামগ্রিক ফল বিবেচনায় না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল তৈরি করেছি। এ কারণে কেউ জেএসসি-এসএসসিতে জিপিএ-৫ না পেয়েও এইচএসসিতে পেয়েছে, কেউ জেএসসি-এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও এইচএসসিতে পায়নি।

যেভাবে হয়েছে সাবজেক্ট ম্যাপিং :
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বরের ৭৫ শতাংশ বিবেচনা করে এইচএসসিতে আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞান বিভাগ :
বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞান বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসি এর পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞান বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ :
এই বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসি এর ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

মানবিক ও অন্যান্য বিভাগ :
মানবিক ও অন্যান্য বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক পর পর তিনটি বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির মানবিক ও অন্যান্য গ্রুপের তিনটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া গ্রুপ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক পর পর তিনটি বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির মানবিক ও অন্যান্য গ্রুপের তিনটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে।

জিপিএ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এসব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। আংশিক বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অকৃতকার্য বিষয়ের নম্বর দেয়ার ক্ষেত্রেও উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট