চট্টগ্রাম শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪

জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত

শীঘ্রই উচ্ছেদ চালাবে সিডিএ ১৩ খালের অবৈধ স্থাপনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জুন, ২০১৯ | ২:১৮ পূর্বাহ্ণ

নগরীর খালের উপর গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শীঘ্রই অভিযান চালাবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। উচ্ছেদ অভিযানের পাশাপাশি প্রয়োজনে ভূমি অধিগ্রহণও করবে সিডিএ। এ কাজে সকল সেবা সংস্থা সহযোগিতা করার আশ^াসও দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সিডিএ’র কনফারেন্স হলে “চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় জমি অধিগ্রহণ, উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা এবং চলমান বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল

সংস্থার সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিডিএ’র চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার ব্যাপারে জানতে চাইলে সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী জানান, খুব শীঘ্রই খালের উপর অবৈধভাবে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। এছাড়া, প্রয়োজনে ভূমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হবে। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩৭টি খালের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ১৩টি খালের কাজ আগে করতে হবে। এই ১৩টি খালের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং প্রয়োজনে ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এটি একটি মেগা প্রকল্প। এই প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করতে হলে সকল সেবা সংস্থার সাহায্য প্রয়োজন। তাই আজ (গতকাল) সকল সেবা সংস্থাকে সাথে নিয়ে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আশা করি উচ্ছেদ অভিযান সফল হবে। সভায় ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড এর মহাপরিচালক প্রকল্পের আওতায় চলমান উচ্ছেদ ও অধিগ্রহণে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, সব সংস্থার প্রতিনিধিকে জনগুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পে সাগ্রহে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করছি। উক্ত প্রকল্পের অধীনে খাল সমূহের একপাশে রাস্তার নির্মাণের প্রস্তাবনা থাকলেও যদি খাল সমূহের উভয় পাশে রাস্তা নির্মাণ করা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে খালসমূহ পুনরায় অবৈধ দখলের সম্ভবনা রয়েছে। তাই প্রয়োজনে ডিপিপি সংশোধন পূর্বক খালের পাড়ে উভয় পাশে রাস্তা নির্মাণের অনুরোধ করেন তিনি। সভায় সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী, সিডিএ সচিব তাহের ফেরদৌসসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এবং সিডিএ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, পিডিবিসহ সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএ’র সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। এছাড়া, খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও করে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট