ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত যাত্রামোহন (জেএম) সেনগুপ্তের বাড়িটি দখলমুক্ত করে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার কাজে প্রাথমিক বিজয় উদযাপনে আগামী শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) আনন্দ মিছিল করবে সচেতন নাগরিক সমাজ।

নগরীর চেরাগি পাহাড় থেকে ওইদিন বিকেল চারটায় মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঐতিহাসিক জেএম সেন ভবনের সামনে এসে শেষ হবে।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় জাদুঘরের সাইনবোর্ড উঠেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, সবাইকে বুঝতে হবে জাদুঘর তৈরি করা একটা বিশেষায়িত কাজ। আন্দোলন করা সহজ। অনেকে যুক্ত হতে পারে। কিন্তু জাদুঘর তৈরিতে আন্তর্জাতিক বৈশিষ্ট্য আছে। আমার মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সে নিউজিল্যান্ডে অবস্থানরত জেএম সেন ও নেলী সেনগুপ্তার নাতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমরা দুইজনের অথেনটিক জীবনী রাখতে চাই জাদুঘরে। বিভ্রান্তি দূর করতে চাই। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিচিহ্ন সংগ্রহ করা হবে। আমরা চাইবো, জাদুঘরে ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতি বিশেষভাবে থাকুক। এ পর্বটি আমাদের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত চট্টগ্রামের অবদান সর্বভারতে স্বীকৃত। কিন্তু সেটার নিদর্শন চট্টগ্রাম সেভাবে রাখেনি। প্রাথমিক বিজয় জানান দিতে আপাতত বিপ্লবীদের, তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের ছবি, বই, দলিল, ছবি যা পাওয়া যায় তা প্রদর্শন করবো।

তিনি বলেন, জাদুঘরের জন্য প্রকল্প তৈরি করতে হবে। বাজেট করতে হবে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প নিতে হবে। বহুতল ভবন তৈরি করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংবাদিক আলিউর রহমান। উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা-গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী, কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কর্ণফুলী গবেষক ড. ইদ্রিস আলী, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান, আবৃত্তিকার রাশেদ মাহমুদ, শ্যামল কুমার পালিত, ড. জিনবোধি ভিক্ষু প্রমুখ।

পূর্বকোণ/পিআর