চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চসিক ভোটেও ‘বহিরাগত’ আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ জানুয়ারি, ২০২১ | ৪:১১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ‘বহিরাগত’ আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দুই দলের প্রার্থীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে ‘বহিরাগতদের’ জড়ো করার অভিযোগ তুলেছেন। এর আগে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বহিরাগত লোকজনের ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি নির্বাচনে বহিরাগত আতঙ্কের বিষয় উঠেছিল।

গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘নির্বাচনের দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখা হবে। মোটরসাইকেল চলাচল করলে বহিরাগতরা ভোটকেন্দ্রে আসার আশংকা থাকে। এছাড়া তিনি নির্বাচনী দায়িত্বরত পোলিং এজেন্টদের সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের তাগিদ দেন।

 

তিনি বলেন, অনেকেই কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট না পাঠিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যাতে সেই অভিযোগ না ওঠে সেই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।

এদিকে, বহিরাগত ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে। মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে। এছাড়াও নগরীর চার প্রবেশপথে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযান চালিয়ে কয়েকজন বহিরাগকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল (রবিবার) রাতে নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম কামাল হোসেন দাবি করেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি-জামায়াত সারাদেশ থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের চট্টগ্রাম শহরে জড়ো করছে। সাধারণ ভোটার, আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক এমনকি নির্বাচনে দায়িত্বরতদের উপরও হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এজন্য বিএনপির সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় এ নেতা।

গত বছর অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনেও বহিরাগত আতঙ্ক ছিল। বহিরাগতরা ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বহিরাগত আতঙ্ক ও ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ উঠেছিল।

সরকারিদল আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যতম বড় দল বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনও বহিরাগত আতঙ্কের কথা বলেছেন। গতকাল (রবিবার) প্রচারণায় তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমরা শুনেছি নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্ট হাউসগুলোতে চট্টগ্রামের আশপাশের এলাকার বহিরাগত লোকজন অবস্থান করছে। অতীতের নির্বাচনগুলোর মতো ভোটকেন্দ্র দখল ও ভোট চুরির জন্য সরকারি দলের লোকজনদের জড়ো করা হচ্ছে। এজন্য জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকানোর দাবি করেছিলাম।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগর ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন। সভায় দলের পক্ষে মাঠে থাকার জন্য নেতাকর্মীদের অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলাভিত্তিক নেতাকর্মীরাও নগরীর ভোটে সম্পৃক্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অনেকেই। এতে প্রার্থী ছাড়াও ভোটারদের মধ্যেও বহিরাগত আতঙ্ক রয়েছে।

 

পূর্বকোণ/পি-মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট