চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি পরিবারের

‘আমার বাবার হত্যার পেছনে মাছ কাদেরের ভূমিকা ছিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ জানুয়ারি, ২০২১ | ২:২৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর ২৮ নম্বর পাঠানঠুলী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আজগর আলী নামের এক মাছ ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার ও জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের ছেলে সেজান মাহমুদ সেতু।

আজ রবিবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বাবা (আজগর আলী বাবুল) একজন প্রতিষ্ঠিত মাছ ব্যবসায়ী। তিনি বাইশ মহল্লার কেবিনেট মেম্বারও ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে আমার বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। ফলে ওই এলাকার আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন তিনি। গত ১২ জানুয়ারি প্রচারণার সময় সন্ধ্যা ৭টায় বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদের প্রকাশ মাছ কাদেরের নেতৃত্বে হেলাল উদ্দীন হেলাল, ওবায়দুল কাদের মিন্টু, আসাদ রায়হান, দিদার উল্লাহ দিদু, দেলোয়ার রশিদ এবং আবদুল নবীসহ আরো কিছু দুষ্কিৃতীকারী হত্যার উদ্দেশে এলাপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এ সময় আমার বাবার পিঠে ও শরীরের বাম পাশে গুলি লাগে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সেজান মাহমুদ সেতু বলেন, আমার বাবার হত্যার পেছনে মাছ কাদেরের ভূমিকা ছিল। কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাকে সমর্থন করায় হত্যার কিছুদিন আগে থেকে মাছ কাদের আমার বাবাকে হুমকি দিয়ে আসছিল, যা আমার বাবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাইকে অবহিত করেন। এ ঘটনায় পরদিন আমি বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। বর্তমানে মামলাটি ডিবির তদন্তাধীন আছে। কিন্তু আমরা উগ্ধেগের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি, এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে আমরা এখনও শংকায় আছি। হত্যাকাণ্ডের প্রায় দু’সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও তদন্তকারী সংস্থা এ মামলার অতি গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসাবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোনো আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত অনেক আসামিকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করেনি। আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে এবং আমার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে।

তিনি আরও বলেন, চসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের এলাকায় মাছ কাদেরের বহিরাগত ভাড়াটে খুনিরা জড়ো হচ্ছে। ইতোমধ্যে পুলিশ দু’জনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে। এই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আমার মতো যে কেউ এতিম হয়ে যেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সকল আসামিদের গ্রেপ্তার এবং প্রয়োজনীয় সকল আলামত উদ্ধার করে এই খুনের ঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করেন।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট