চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নকল সুরে ভোটের প্রচারণা

মরিয়ম জাহান মুন্নী 

২১ জানুয়ারি, ২০২১ | ৫:৫৪ অপরাহ্ণ

জনপ্রিয় বিভিন্ন গানের প্যারোডি (নকল) সুরে নগরীর অলিগলিতে চললে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। নকল গানের সুরে সুরে চলছে প্রার্থীদের গুণকীর্তন আর মার্কার জয়গান। এতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না নির্বাচনী আচারণবিধি। শুধু তাই নয় সাথে অমান্য করা হচ্ছে কপিরাইট আইন।

 

নগরীতে যেসব গানের সুর নকল করে প্যারোডি গান চলছে সেই উল্লেখ্যযোগ্য গানগুলো হলো ‘দে দে সিল মেরে দে, তোরা দেরি করিস না/ … মার্কা ছাড়া তোরা সিল মারিস না’। আবার ‘সবাই মিলে ভোট দেব … / … আছে রক্ত মিশে’।

 

মেয়র প্রার্থী ছাড়াও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষেও বাজছে নকল সুরের গান। ‘আপা গো তোমার ভোটটা দিয়ে দাও/ … মার্কায় তুমি তোমার ভোটটা দিয়ে দাও’। জনপ্রিয় সব গানের নকল সুরে চলছে ভোট-উৎসব। আগামী ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ। ভোটের তারিখ নিয়েও গান রচনা করা হয়েছে।

‘২৭ তারিখের নির্বাচনে সবাই শপথ নিয়ো/ নির্বাচনে ভোটটা … মার্কায় দিয়ো’। ‘মধু হই হই’সহ কয়েকটি জনপ্রিয় গানের সুরও নকল করা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সকাল থেকে কোথাও কোথাও মধ্যরাত অবধি চলছে ভোটের গান।

 

যেগুলোর প্রায় সব তৈরি হয়েছে কপিরাইট আইনের তোয়াক্কা না করে। প্রচারের এই চলতি ধারা নির্বাচনে একদিকে যেমন বাড়তি রং যোগ করেছে, তেমনি দিনরাত উচ্চ স্বরে বাজানো গান বিরক্তির উদ্রেক করছে। এতে মানসিক অশান্তিতে ভুগছেন বাসিন্দারা। শুধু মাইকেই নয় মিনি ট্রাকে সাউন্ড সিস্টেম বসিয়ে উচ্চ সুরে চলছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা।

 

২০ নং লালখান বাজার ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আরিফুর রহমান বলেন, রাস্তার পাশে অফিস হওয়ায় খুব সমস্যায় আছি। সারাদিন উচ্চ সুরে গান বাজিয়ে প্রার্থীরা চালাচ্ছে প্রচার-প্রচারণা। কানের বারোটা বেজে যাচ্ছে। অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি আমরা।

 

১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাকিবুল হাসান বলেন, ঘরে অসুস্থ মানুষ রয়েছে। উচ্চ সুরের গানে তারা আরো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আমার বাবা স্ট্রোকের রোগী। তাকে নিয়ে বেশি সমস্যায় আছি। সুর নকল করা কপিরাইট আইনেরও লঙ্ঘন। তাই কোনো শিল্পী চাইলে এ বিষয়ে কপিরাইট অফিসে অভিযোগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে ৬ মাস থেকে ৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

মাইকিংয়ের ক্ষেত্রে নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় জানায়, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয় দেখার জন্য মাঠে ম্যাজিস্ট্রেটেরা কাজ করছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করছেন তারা।

 

পূর্বকোণ/পি-মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট