উপজেলা সদরের মীরপাড়ার এনামুল হকের ৬ বছরের শিশু কন্যা তানজিলা হক ঘরের পাত্রে রাখা গরম পানিতে গত রবিবার সকাল ১০টার দিকে শরীরের এক তৃতীয়াংশ ঝলসে যায়। তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে এমপি আসার অজুহাতে কালুরঘাটে আটকে থাকতে হয় একঘণ্টা। যন্ত্রণায় ছটফট করা মেয়েটির বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে টোল অফিসের কর্মকর্তারা। এনিয়ে সাংসদকেও ট্রল করা হয়।
তবে বিষয়টি সম্বন্ধে সাংসদ কিছুই জানতেন না বলে স্বীকার করেছেন টোল অফিসের ম্যানেজার মো. নুর উদ্দিন। এবিষয়ে গতকাল সোমবার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর বেরুলে তা নজর এড়ায়নি এমপি মোছলেম উদ্দিন আহমদের।
তিনি পূর্বকোণ প্রতিনিধিকে ফোনে জানান, এমপি আসার খবরে যন্ত্রণায় কাতরানো শিশুটির গাড়িটি আটকে রাখা নিংসন্দেহে অমানবিক। টোল অফিস বিষয়টি আমাকে কিংবা আমার পিএসকে জানায়নি। দ্বগ্ধ শিশুকে নিয়ে যে সংবাদ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
দ্বগ্ধ শিশুটির বিষয়ে তিনি জানান, উপজেলা আ. লীগকে খোঁজ খবর নিতে বলেছি। ফোনে কথা হচ্ছে, শিশুটির পরিবার চাইলে তার চিকিৎসার সব দায়িত্ব আমি নেব।
দগ্ধ শিশুর পিতা এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মেয়ে নিয়ে দিনভর ব্যস্ত সময় পার করেছি। স্থানীয়রা এমপি সাহেবের বরাত দিয়ে যোগাযোগ করেছে।
পূর্বকোণ/এএ