নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এলাকার ‘মেজ্জান হাইলে আইয়ুন’ ও ‘সাদিয়া’স কিচে’ দুই রেস্তোরাঁকে রান্নাঘরে ছাড়পোকা ও ডাস্টবিন রাখায় জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর। আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) দিনভর খুলশি ও ডবলমুরিং এলাকায় চলমান অভিযানে ৯ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে একলক্ষ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে । অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, জেলি দেয়া চিংড়িমাছ ও অননুমোদিত সস ধ্বংস করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এই অভিযান পরিচালনা করেন।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, নগরীর ডবলমুরিং থানার বাদামতলী মোড়ের আয়োজন রেস্তোরাঁ এন্ড বিরানি হাউসকে অননুমোদিত সস ব্যবহার, উৎপাদন-মেয়াদবিহীন দই ব্যবহার, কিচেনে কর্মীদের ব্যবহার্য কাপড়-চোপড় ঝুলিয়ে রাখা, রান্না করা খাবার খোলা অবস্থায় রাখা এবং নোংরা স্থানে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করায় ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত সস ধ্বংস করা হয়। একই এলাকার ‘মেজ্জান হাইলে আইয়ুন’ রেস্তোরাঁকে কিচেনে খোলা ডাস্টবিন রাখায় ৫ হাজার টাকা, সাদিয়া’স কিচেন ‘রেস্তোরাঁ কে কিচেনে খোলা ডাস্টবিন রাখা ও রান্নাঘরে তেলাপোকা থাকায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
খুলশি থানার ঝাউতলা বাজারের পাহাড়িকা স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুখাদ্য ধ্বংস করা হয়। নিত্যপণ্যের পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় আল আজাদ স্টোরকে ৩ হাজার টাকা, মীম এন্ড মুন চিকেন হাউসকে ৫ হাজার টাকা, মনির রাইস মিলকে ৪ হাজার টাকা, কাজী স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। ঝাউতলা মাছবাজারের ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজকে জেলিযুক্ত (সিলিকা জেল পুশ করা) চিংড়িমাছ বিক্রয় করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত চিংড়িমাছ ধ্বংস করা হয়।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
পূর্বকোণ /আরআর