চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চেম্বারে মতবিনিময় সভায় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি

ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় পার করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ জুন, ২০১৯ | ২:২০ পূর্বাহ্ণ

দুই প্রধানমন্ত্রীর সৌহার্দ্যরে ভিত্তিতে ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় পার করছে। দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, আগামীতেও তা বজায় থাকবে।
বাংলাদেশে নিয়োজিত ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ গতকাল সোমবার চিটাগাং চেম্বারে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির পরিমাণ ১.০৪ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
রিভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, পারস্পরিক সম্পর্ক এবং উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করছে। ভারতের অনেক বিখ্যাত কোম্পানী যেমন : হিরো, টাটা ইত্যাদি ৫৭০ মিলিয়ন ডলার সরাসরি বিনিয়োগ করেছে। উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের এলডিসি স্ট্যাটাস পরিবর্তিত হলেও অগ্রাধিকার ভিত্তিক বাণিজ্য অব্যাহত থাকবে। হাই কমিশনার বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অশুল্ক বাধাসমূহ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে দূর করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, অর্থনৈতিক চরিত্র বিচারে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারত এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের সমাহার কম হলেও ক্রমান্বয়ে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি ভারত হতে আমদানির বিপরীতে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করার লক্ষ্যে রপ্তানি বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এক্ষেত্রে বিদ্যমান অশুল্ক বাধাসমূহ দূর করার ক্ষেত্রে হাই কমিশনারের সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত কর অবকাশসহ বিভিন্ন প্রণোদনার সুযোগ গ্রহণ করে মিরসরাই ইকনোমিক জোনে যৌথ বা এককভাবে বিনিয়োগের মাধ্যমে ভারত ও বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করে উভয়পক্ষ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বলে চেম্বার সভাপতি মনে করেন। অন্যদের মধ্যে মধ্যে বক্তব্য রাখেন চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, দি পূর্বকোণ লিমিটেড ও চিটাগাং ক্লাব লিমিটেডের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, বিএসআরএম’র চেয়ারম্যান আলী হুসেইন আকবর আলী, সাউদার্ণ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইঞ্জি. এম. আলী আশরাফ, উইম্যান চেম্বারের সি. সহ-সভাপতি ডা. মুনাল মাহবুব, জাপানের অনারারী কনসাল মো. নুরুল ইসলাম, কাস্টমস কমিশনার এম. ফখরুল আলম, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ’র সম্পাদক রুশো মাহমুদ, বাফা’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, চেম্বারের নবনির্বাচিত পরিচালক এস. এম. আবু তৈয়ব, প্রাক্তন পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ প্রমুখ ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী, হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারী (পলিটিক্যাল) নবনিতা চক্রবর্তী, ইপিবি’র পরিচালক কংকন চাকমা, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন’র সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী (বাচ্চু) চেম্বার পরিচালক এ কে এম আক্তার হোসেন, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), ছৈয়দ ছগীর আহমদ, হাসনাত মো. আবু ওবাইদা, মো. শাহরিয়ার জাহান, মো. আবদুল মান্নান সোহেল, নব নির্বাচিত পরিচালক সালমান হাবীব, তাজমীম মোস্তফা চৌধুরী, সাকিফ আহমেদ সালাম, এবং বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ পরে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ-এর সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন। এ সময়ে অন্যদের মধ্যে সদস্য প্রকৌশল কমডোর খন্দকার আক্তার হোসেন এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট