চট্টগ্রাম বন্দরের ২ হাজার ৭৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার অডিট আপত্তি পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ উত্থাপিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের (বীর উত্তম) সভাপতিত্বে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কমিটির সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এবং এস এম শাহজাদা বৈঠকে অংশ নেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট দুই হাজার ১৬৫ অধিক অডিট আপত্তি হয়েছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমাণ চার হাজার ৯৩২ কোটি ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। আপত্তি আসা এসব অডিটসমূহের মধ্যে দুই হাজার ৮টি নিষ্পত্তি হয়েছে। এতে অর্থের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ১৭১ কোটি ৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। বাকি অনিষ্পন্ন ১৫৭ অডিট আপত্তি সংশ্লিষ্ট অর্থ দুই হাজার ৭৬৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

অন্য এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা এক হাজার ৯৫৯টি। সেখানে মোট আট হাজার ৭৪২ টি পদের বিপরীতে ৬ হাজার ৭৮৩ জন কর্মরত আছেন। এসব শূন্য পদের মধ্যে ৩৫৬টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।

সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অডিট আপত্তির বিস্তারিত বিবরণ আগামী সভায় উপস্থাপন এবং শূন্যপদে জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতির কার্যক্রম গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করে।

বৈঠকে বুড়িগঙ্গা ও কর্ণফুলী নদীর ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন অপসারণ করার জন্য জরুরিভিত্তিতে গ্র্যাব ড্রেজার কিনে কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।

পূর্বকোণ/পি-মামুন